আরও পড়ুন- মনের মধ্যে টালমাটাল? সাউন্ড থেরাপি নিয়ন্ত্রণে আনবে হাজারো শারীরিক মানসিক চাপ
সারারাত মুখে নারকেল তেল মেখে থাকলে কী হয়?
নারকেল তেল ত্বকে বাধার স্তর তৈরি করে এবং সহজে শোষিত হয় না। ফলে এটির হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লিপিড সামগ্রীর কারণে ত্বকের ছিদ্র আটকে যায়। আপনি যদি সারারাত মুখে নারকেল তেল মেখে থাকেন, তাহলে আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলিতে সিবাম আটকে যাওয়ার কারণে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় বা ব্রণ হয় বেশি তবে নারকেল তেল তা বাড়িয়ে দিতে পারে।
advertisement
কোল্ড প্রেসড নারকেল তেলে (coconut oil) বেশি পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে হাইড্রেট করে। সারা রাত মুখে তেল মাখা থাকলে এটি আপনার ত্বকে আর্দ্রতা আটকে রাখবে এবং ত্বককে নরম, কোমল এবং হাইড্রেটেড করে তুলবে। নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেল তেল ত্বকের লালভাব বা জ্বালার মতো প্রদাহ কমাতে পারে বলে ভাবা হয় ঠিকই, তবে তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে নারকেল তেল কমেডোজেনিক তাই অনেকের হোয়াইটহেডস এবং ব্ল্যাকহেডস বা ব্রাণ হতে পারে। আপনার যদি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে বা তৈলাক্ত ত্বক হয় তবে মুখে নারকেল তেল ব্যবহার করবেন না।
আরও পড়ুন- ১০/১২ ঘণ্টা বসে কাজ? শরীর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে অচিরেই, আস্থা রাখুন স্ট্রেচিংয়ে
নারকেল তেল শরীরের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পারে। শুষ্ক এবং ব্রণ না হওয়া ত্বকের জন্য এই তেল হালকা ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও কাজ করতে পারে তবে এটি ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগাবে না কারণ তেলের (coconut oil) বড় অণু ত্বকে প্রবেশ করতে পারে না বরং ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারকেল তেল অত্যন্ত সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জির কারণও হতে পারে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-এজিং, বা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার বা ওকোলাজেন-বুস্টিং কোনও উপাদানই নেই। সুতরাং, রাতারাতি ত্বক সুস্থ করতে এবং ত্বকের হাইড্রেশনের জন্য ত্বকের ধরন অনুসারে কোনও ভাল নাইট ক্রিম এবং স্লিপিং মাস্কেই আস্থা রাখা উচিত।