আরও পড়ুন : বাড়িতেই তৈরি করুন ভূস্বর্গের পানীয়, শীত হয়ে উঠবে আরামদায়ক
এস এম যোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ন্যাচারোপ্যাথি হসপিটালের ডক্টর বালমুকুন্দ শাস্ত্রী মনে করেন, ভারতীয় টয়লেটবিধি অনুসরণ করাই বর্জ্যত্যাগের সঠিক পদ্ধতি৷ ভারতীয় টয়লেটে যে ভাবে বর্জ্যত্যাগ করা হয় অর্থাৎ সেই ‘স্কোয়াটিং’ পদ্ধতি অনুসৃত হয়ে আসছে কয়েক যুগ ধরে৷ কিন্তু কেন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন যোগ বিশেষজ্ঞ শাস্ত্রী৷
advertisement
আরও পড়ুন : শীতের রাতে সোয়েটার পরেই ঘুমোতে যান? দেখুন এই অভ্যাস কতটা বিপজ্জনক স্বাস্থ্যের জন্য
তাঁর মতে, এভাবে বর্জ্যত্যাগ করলে পাকস্থলীতে উপযুক্ত চাপ পড়ে৷ ফলে মলত্যাগের পদ্ধতি অনেক বেশি মসৃণ হয়৷ বালমুকুন্দ শা্স্ত্রী আরও বলেন যে এই পদ্ধতিতে শিরদাঁড়া ও ক্ষুদ্রান্ত যে অবস্থানে থাকে, তাতে বর্জত্যাগ করা সহজ হয়৷ অন্যদিকে, পশ্চিমী কায়দায় কমোডে বসে বর্জ্যত্যাগ করলে অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয় বলে জানিয়েছেন বালমুকুন্দ শাস্ত্রী৷ মেরুদণ্ড এবং ক্ষুদ্রান্ত সঠিক অবস্থানে থাকে না বলে এই ঘরানা অনুসরণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় বলে মত যোগ বিশারদের৷
আরও পড়ুন : অনেকের কাছে ব্রাত্য শীতকালের এই সুস্বাদু শাকেই সুস্থতার চাবিকাঠি
ডক্টর শাস্ত্রীর মতে, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দীর্ঘ দিন থাকলে পাইলস, ফিশ্চুলা, অ্যানাল ক্যানসারের মতো জটিল অসুখ দেখা দেয়৷ যদি একান্তই পশ্চিমী কায়দার টয়লেট ব্যবহার করতে হয়, তালে ডক্টর শাস্ত্রীর মত, পায়ের নীচে একটা ছোট টুল রাখতে হবে৷ তবে টুলে উচ্চতা যেন যথেষ্ট হয়, যাতে দু’ পায়ের অবস্থান এলিভেটেড হয়৷ এর পর হাঁটু উপর কনুই ভর দিয়ে হাতের তালুতে রাখতে হবে মুখ৷ ডক্টর শাস্ত্রীর মত, কমোডে এভাবে বসে বর্জ্যত্যাগ করলে কম চাপ প্রয়োজন হয়৷