এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণা মণ্ডল জানান, “এই বাগানে বিকেল হলেই একটা সময় ভিড় জমত। জেলার এই একমাত্র বাগান যেখানে প্রবেশ করতে কোনও টাকা লাগে না। তবে এই বাগানের বেহাল দশার কারণে মানুষের আনাগোনা কমেছে। বহু দূর-দূরান্তের পর্যটকরা আসতেন। তবে দিনে দিনে সেই সংখ্যাও কমেছিল। এখন যদি পুনরায় এই বাগান সংস্কার করা হয়, তবে ভালই হবে। বাগানে রয়েছে রাজ পরিবারের বহু স্মৃতিসৌধ। যেগুলি বেশ অনেকটাই আকর্ষণ করে বহু মানুষকে।”
advertisement
কোচবিহারের ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “রাজ পরিবারের একাধিক সদস্যদের স্মৃতি সৌধ রয়েছে এখানে। রাজ পরিবারের স্মৃতি বিজরিত কেশব আশ্রম বা রানি বাগান ইতিহাসের নিদর্শন। বাগানের একটি ঘরে রাজ পরিবারের বহু পুরনো ছবি রয়েছে। তাই বাগানের সংস্কার দ্রুত প্রয়োজন। জেলার পর্যটন মানচিত্রে এই বাগানের গুরুত্ব অনেকটাই।”
উদ্যানকানন রেঞ্জার অভিজিৎ নাগ জানান, “ইতিমধ্যেই বাগানের সংস্কারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাগানের বেড়ার তারজালি লাগানো হবে নতুন করে। এছাড়া বাচ্চাদের খেলনা ও পর্যটকদের বসার জায়গাও সংস্কার করা হবে।” এই সংস্কারের কাজ করা হলে কেশব আশ্রম বা রানি বাগান ফের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এছাড়া কোচবিহারের রাজ পরিবারের স্মৃতি বিজরিত এই বাগান হেরিটেজ নিদর্শন। তাই এই বাগানের সংস্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যদিও বর্তমান সময়ে বাগানের আগাছা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত এই পার্ক সংস্কার করে হেরিটেজ বাগানের পুরনো জৌলুস ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফলে জেলায় আকর্ষণ বাড়তে চলেছে রাজ আমলের এই হেরিটেজ বাগানের।
Sarthak Pandit