এ দিকে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যে, অনেক সময় ময়দা (Maida) অথবা চালের গুঁড়োতে (Rice Flour)-র মধ্যে ভেজাল হিসেবে মেশানো হচ্ছে বোরিক অ্যাসিড (Boric Acid)। কিন্তু মুশকিলটা হল, বাজার থেকে কেনা ময়দা অথবা চালের গুঁড়োয় বোরিক অ্যাসিড আছে কি না, সেটা আমরা বুঝবই বা কী ভাবে। সম্প্রতি ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস্ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) একটি পরীক্ষামূলক ভিডিও পোস্ট করে এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করেছে। চলুন জেনে নিই, রান্নাঘরে থাকা ময়দা আর চালের গুঁড়ো ভেজালমুক্ত কি না, সেটা কী ভাবে পরীক্ষা করব। তবে তার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে যে, বোরিক অ্যাসিড আসলে কী এবং তা কতটা ক্ষতিকর।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়তি ওজন দ্রুত কমাতে কিছু সহজ নিয়ম
বোরিক অ্যাসিড কী এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী?
জলে দ্রবণীয় সাদা রঙের এই যৌগ অক্সিজেন, বোরন এবং হাইড্রোজেনের সংমিশ্রণে তৈরি। এর মধ্যে অবশ্য অ্যান্টিফাঙ্গাল অথবা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। এমনকী ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ অথবা চুলকানির চিকিৎসায় যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেই ওষুধ তৈরিতে বোরিক অ্যাসিডের সাহায্যেই তৈরি হয়ে থাকে। এই যৌগ ত্বকের সংস্পর্শে এলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে, তাই সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এটা ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত বোরিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করলে তা থেকে জনন সংক্রান্ত সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, লিভারের উৎসেচক বৃদ্ধি, তলপেটে ব্যথা, অ্যালার্জি, বমি-বমি ভাব, শরীরে জ্বালাপোড়া হওয়া প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন : সহজেই হাড় ভেঙে যায় বা হাড়ে চিড় ধরে? ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি
ময়দা অথবা চালের গুঁড়োয় ভেজাল রয়েছে কি না, তা বাড়িতেই পরীক্ষা করার উপায়:
প্রথমেই একটি টেস্ট টিউবে ১ গ্রাম ময়দা নিতে হবে।
এর পর তার মধ্যে ৫ মিলিলিটার জল মেশাতে হবে।
জল মেশানো হয়ে গেলে টেস্ট টিউবটি ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।
এ বার টেস্ট টিউবটিতে কয়েক ফোঁটা কনসেন্ট্রেটেড হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL) যোগ করতে হবে।
এর পর ওই মিশ্রণে একটা হলুদ পেপার স্ট্রিপ (Turmeric Paper Strip) ডুবিয়ে দিতে হবে।
এ বার হলুদ পেপার স্ট্রিপটার রঙ বদল হয়েছে কি না, সেটা লক্ষ্য করতে হবে। যদি পেপারটির রঙ না-বদলায়, তা হলে বুঝতে হবে, ময়দাটি ভেজালমুক্ত। আর যদি ময়দায় ভেজাল থাকে, তা হলে কাগজের ওই স্ট্রিপটা লাল হয়ে যাবে।