মেলাসমা:
এতে ত্বকে হাইপার পিগমেন্টের জন্য খয়েরি অথবা ছাই রঙের স্পট দেখা যায়। এই মেলাসমার আসল কারণ কী, সেটা এখনও জানা যায়নি। ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে গেলে বা বংশ পরম্পরায়ও এই রোগ আসতে পারে। থাইরয়েড বা লিভারের রোগ থাকলে এই রোগ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শুধু দিনেই নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে রাতেও পরিচর্যা জরুরি, রইল জবরদস্ত টিপস...
advertisement
প্রদাহজনিত (Post inflammatory hyperpigmentation):
অনেক সময় কোনও ফোঁড়া বা পিম্পল হওয়ার পরে সেই দাগ ত্বক থেকে যেতে চায় না। একে প্রদাহজনিত হাইপারপিগমেন্টেশন বলে। এটা সারা জীবনও থেকে যেতে পারে। সাধারণত ইউভি রশ্মির জন্য এটি আরও বাড়ে।
লেন্টিজিনস (Lentigines):
ত্বকের যে জায়গাগুলোতে সূর্যের আলো বেশি পড়ে, সেখানে অনেক সময় লাইট ব্রাউন বা কালো দাগ হয়ে যায়। এই পিগমেন্টে স্কিনে ক্ষতির সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। যত বেশি সূর্য রশ্মি সেখানে লাগবে, তত বেশি ত্বকের সেই অংশে ক্যানসারের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: ত্বক নিয়ে কোনও আপোষ নয়, সঠিক কসমেটিকস্ কেনার আগে মাথায় থাকুক 'এই' টিপস...
পেরিওর বিটাল হাইপার পিগমেন্টেশন (Periorbital hyperpigmentation):
এটি ডার্ক সার্কল নামেও পরিচিত। চোখের তলায় যে কালো দাগ পড়ে যায়, সেটাকে বলে পেরিওর বিটাল হাইপার পিগমেন্টেশন। অনেকেই বলে যে, দুশ্চিন্তা করা বা রাতে না-ঘুমানোর জন্য এটি হতে পারে। সেটা যেমন একটা কারণ, তেমনই এটা বংশ পরম্পরাতেও আসতে পারে। অথবা সূর্যের রশ্মির জন্যও এটি বাড়তে পারে।
এই রোগগুলি এড়ানোর সব থেকে ভালো উপায় হল, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। শুধু তা-ই নয়, বদলাতে হবে খাওয়ার ধরনও। দরকার হলে কোন ভাল ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করতে হবে। ত্বককে ভাল রাখতে গেলে তার খেয়াল রাখতে হবে। তার যত্ন নিতে হবে। তবেই ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর ও দূরে থাকবে রোগ ব্যাধি।
