ডিএচআরের তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর আগেই চালু হবে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস, Bagheera’s Trail ও Tea & Timber Trail। উদ্দেশ্য, পর্যটকদের কাছে চা বাগান, বনজীবন ও স্থানীয় সংস্কৃতির সম্মিলিত স্বাদ তুলে ধরা। এই রুটটির সূচনা হচ্ছে টং (Tung) থেকে। ছোট্ট ট্রেন এগিয়ে যাবে কার্শিয়ংয়ের দিকে। সেখানে পর্যটকরা প্রথমেই ভিজিট করবেন কার্শিয়ং আর্কাইভ। এরপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডাউহিল ফরেস্ট অঞ্চলে, যেখানে হবে প্রায় ১.৫-২ ঘণ্টার ট্রেকিং। ট্রেক শেষে, বন দফতরের তত্ত্বাবধানে পর্যটকদের পরিবেশন করা হবে উপজাতিদের হাতে তৈরি আদিবাসী খাবার। পরে ফরেস্ট মিউজিয়াম ঘুরে দিন শেষ হবে কার্শিয়াং থেকে মহানদী পর্যন্ত ‘সানসেট চার্টার্ড রাইড’ দিয়ে। প্রকৃতি, ইতিহাস আর খাদ্যের এমন এক অনন্য মেলবন্ধনই Bagheera’s Trail-কে আলাদা করে তুলছে।
advertisement
পাহাড় ছেড়ে এবার নজর সমতলে। শুকনা থেকে রংটং, এই নতুন রুটে চালু হচ্ছে Tea & Timber Trail। এই পথে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে রংটং সংলগ্ন চা বাগানগুলোর ঘ্রাণ, ছায়া আর ঐতিহ্য। এই যাত্রায় শুধু দৃশ্য নয়, থাকবে চা উৎপাদনের পদ্ধতি, শ্রমিকদের জীবন ও স্থানীয় কৃষ্টির বাস্তব অভিজ্ঞতা। একটি চা অঞ্চলের গভীর পরিচয় মিলবে রেলযাত্রার প্রতিটি স্টেশনে।
DHR-এর ডিরেক্টর ঋষভ চৌধুরীর কথায়, “DHR কখনওই নিজেকে পর্যটন শিল্পের বাহক হিসাবে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়নি। আমাদের উদ্যোগ স্থানীয় শিল্প, বনজ জীবন ও মানুষের সঙ্গে মিলে একটি সার্বিক অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার। DHR-কে আলাদা করে চেনার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।” ইতিমধ্যে দুই ট্রেনেরই সময়সূচি নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারিখ ঘোষণা করা হবে, সেই সঙ্গে জানানো হবে টিকিট বুকিং প্রক্রিয়া। উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যকে ট্রেনের জানালায় বসে যতটা দেখা যায়, এই ফুললেন সার্ভিসে তা আরও নিবিড়ভাবে ছোঁয়া যাবে। পাহাড়ি রেলকে ঘিরে গড়ে ওঠা এই নতুন গল্প হয়তো পর্যটনের মানচিত্রে DHR-এর নামকে আরও গাঢ় করে তুলবে।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





