বেলপাহাড়ি থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কাঁকড়াঝোড়। কাঁকড়াঝোড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সম্পর্কে পর্যটক মহল ওয়াকিবহাল। কাঁকড়াঝোড়ের ছোট্ট পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে সরকারি একটি অতিথিশালা। যেখানে রাত্রিযাপন করে বসন্ত উৎসবের সময় দোল পূর্ণিমা জোৎস্না রাত উপভোগ করা যাবে। পূর্ণিমার জোৎস্না রাতে মনে হবে যেন সবুজ জঙ্গলের বুক চিরে পূর্ণিমার জোৎস্না চুম্বন করছে পাহাড়ের চূড়াকে। স্নিগ্ধ মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যাবে সাহজেই । কলকাতা থেকে মাত্র ২৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কাঁকড়াঝোড়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
কলকাতা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঝাড়গ্রাম,বেলপাহাড়ি হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে কাঁকড়াঝোড় অথবা হাওড়া স্টেশন থেকে সোজা চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যাবে কাঁকড়াঝোড়ে।পর্যটকদের কাঁকড়াঝোড়ে থাকার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহু হোম-স্টে গড়ে উঠেছে। তার পাশাপাশি কাঁকড়াঝোড়েই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে সরকারি অতিথিশালা। বীনপুর দু’নম্বর ব্লকের বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালিত কাঁকড়াঝোড় গেস্ট হাউস রয়েছে। দোল পূর্ণিমার ছুটিতে কাঁকড়াঝোড়ে থাকার ইচ্ছা থাকলে অগ্রিম বুকিং করে নেওয়াটাই ভাল।
আরও পড়ুন: ডাল ও চালের মিশিয়ে রুটি তৈরি করুন! বহু রোগের যম এই রুটি! জানুন পদ্ধতি
কাঁকড়াঝোড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি চোখে পড়বে ৭০ এর দশকের নস্টালজিয়া “চারমূর্তি” বাংলা ছবির শুটিং স্থল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে জায়গাটিতে বসান হয়েছে সাইনবোর্ড। কাঁকড়াঝোড়ে রাত্রিযাপন করার পাশাপাশি সারাদিন ধরে ঘুরে বেড়ানও যাবে পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা বিভিন্ন জায়গায়। বসন্ত উৎসবের দিনগুলিকে উপভোগ করার ইচ্ছা থাকলে এবারে ডেস্টিনেশন হোক কাঁকড়াঝোড় ।
বুদ্ধদেব বেরা