পশ্চিম মেদিনীপুর শহর থেকে অনতি দূরে রয়েছে জমিদার বাড়ি।মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন পাথরার বন্দোপাধ্যায় জমিদার বাড়ি কালের নিয়মে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও এখনও বেশ কিছু জায়গায় অক্ষত রয়েছে। শুধু তাই নয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণের সংরক্ষিত একাধিক মন্দির, জমিদার বাড়ি বা কাছারিবাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিদর্শন পাবেন এখানে। শহরের কোলাহল, দৈনন্দিন ব্যস্ততা ছেড়ে গ্রামীন পরিবেশে চারিদিকে ঘেরা এই জায়গায় এলে মন ভাল হয়ে যাবে আপনার। মেদিনীপুর শহর থেকে অনতি দূরে রয়েছে মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। এই গ্রামে বেশ কয়েকশো বছর আগে শাসন চালাত বন্দোপাধ্যায় জমিদার পরিবার। তবে সময় যত এগিয়েছে, তত ক্রমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের এই বসতভিটে।
advertisement
বর্তমানে তাদের উত্তর পুরুষেরা এই বাড়িতে থাকেন না। তবে দেখার বলতে রয়েছে, তাদের তৈরি জমিদার বাড়ি, জমিদার বাড়ির দেওয়ালে থাকা বিভিন্ন বিভিন্ন আঁকিবুঁকি। পূর্ব দিকে মুখ করা তিনটি মন্দির, সুদৃশ্য রাসমঞ্চ। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ দ্বারা সংরক্ষিত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তৈরি পূর্ব দিকে মুখ করা তিনটি পঞ্চরত্ন শিব মন্দিরের গঠনশৈলী দেখে আপনি অবাক হবেন।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই মন্দির গুলোর গঠন রীতি টেরাকোটা আদলে। মন্দিরের সামনে রয়েছে টেরাকোটা নির্মিত দ্বারপাল, মন্দিরের সামনের দিকে টেরাকোটা নির্মিত একাধিক দৃশ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে!মন্দিরময় পাথরা এলাকায় রয়েছে একাধিক মন্দির বিভিন্ন রীতির আদলে তৈরি এই মন্দির জেলার শুধু নয় গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে এক প্রসিদ্ধ ইতিহাস ক্ষেত্র। কিন্তু অনতি দূরেই রয়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদার বাড়ির অবশিষ্টাংশ, যা এখনও বহন করে চলেছে সুদীর্ঘ ইতিহাসকে।
রঞ্জন চন্দ