আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? বেশি করে পেয়ারা খান
ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিদ্যার ঐতিহ্য প্রায় ৫,০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এটি প্রকৃতিতে উপলব্ধ উপাদান সহ আমাদের শরীরের যাবতীয় সমস্যার নিরাময়ে সদর্থক ভূমিকা নেয়। আয়ুর্বেদে উপলব্ধ চুলে নিয়মিত অয়েল মাসেজের পদ্ধতি একটি বিজ্ঞানসম্মত বিষয়। নিয়মিত অয়েল মাসেজ আমাদের স্কাল্প এবং চুলের পুষ্টির জন্য খুবই উপকারী। এটি দুর্দান্ত স্ট্রেস বাস্টার হিসেবেও ভালো। নারকেল তেল, মেথি ইত্যাদি উপাদান সহযোগে তৈরি তেল চুলের দীপ্তি এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে খুবই সাহায্য করে। আমাদের বেছে নেওয়া তেলের ওপরেই কিন্তু নির্ভর করে চুলের গ্রোথ বা পুষ্টি। চুলের পাতলা হয়ে যাওয়া এবং চুলের গোড়ার ক্ষতি আটকাতে তেলের চেয়ে সেরা উপাদান আর কিছু হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে নারকেল, রোজমেরি এবং ক্যাস্টর অয়েল চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি এবং গোড়া শক্ত করতে দারুণ কার্যকরী।
advertisement
আরও পড়ুন : ত্বকের যে কোনও সমস্যা সেরে যায় চন্দনের স্পর্শে
চুলের যত্ন নিতে হলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর শ্যাম্পু করার অভ্যেস থাকতে হবে, সেই সঙ্গে একটি ভালো মানের মাইল্ড হেয়ার কন্ডিশনার বা মাস্ক বেছে নেওয়া উচিত। ভৃঙ্গরাজ, হিবিস্কাস, লিকোরাইসের মতো উপাদানে সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট আমাদের চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। পাশাপাশি আমাদের চুলের গঠন এবং গুণমানকেও উন্নত করে।
আরও পড়ুন : শিল্পা শেট্টীর চিরতরুণ ত্বক ও রূপের রহস্য লুকিয়ে এই পরিচিত ফলেই
তবে বাজারচলতি শ্যাম্পুতে খুব বেশি বিনিয়োগ না করে নরম, চকচকে এবং সত্যিকারের সুন্দর চুল পেতে হলে আয়ুর্বেদ সমর্থিত ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করাই ভালো। ঘরোয়া ভালো মানের শ্যাম্পু মাথার ত্বক এবং চুল থেকে ময়লা-ধুলো অপসারণ করতে সাহায্য করে। তাই পছন্দের শ্যাম্পু নির্বাচন করার আগে সতর্ক থাকা উচিত যাতে তাতে খুব বেশি কেমিক্যাল প্রোডাক্টস ব্যবহৃত না হয়। শিকাকাই, মেথি, জবা ফুল ইত্যাদি উপাদান সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বা তেল সর্বদাই আমাদের চুলের জন্য উপকারী। বিশেষ করে শীতকালের রুক্ষ চুলের ট্রিটমেন্ট করাতে এর চেয়ে ভালো পদ্ধতি আর কিছু নেই।