ছোট ছোট উপায় অনুসরণ করুন৷ তাহলেই দেখবেন আপনার সন্তানও স্মার্টফেোন ছেড়ে বইয়ের দিকে ক্রমশ আকৃষ্ট হচ্ছে-
আপনি নিজে বই পড়ুন
আপনার হাতেও যেন স্মার্টফোনের বদলে বই বেশি দেখে সন্তান৷ অভিভাবক হিসেবে সন্তানের সামনে দেখান আপনারও প্রধান শখ বই পড়া-ই৷ এই অভ্যাস যে লোভনীয়, সেটা বোঝাতে হবে সন্তানকে৷ তাই বলে সারা ক্ষণ বই পড়তে হবে না৷ কিন্তু সন্তানের মনে কৌতূহল গড়ে তুলুন বই নিয়ে৷
advertisement
আরও পড়ুন : হাড়ের সুস্থতা থেকে ভাল ঘুম, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের অবদান অনেক
প্রিয় বই নিয়ে আলোচনা
আপনার প্রিয় বই, লেখক, গল্প কবিতা নিয়ে সন্তানের সঙ্গেও কথা বলুন৷ ছোটবেলায় কার লেখা পড়তে পছন্দ করতেন, জানান সন্তানকে৷ দেখবেন, ধীরে ধীরে সন্তানও ক্রমশ আগ্রহী হয়ে উঠছে বইয়ের প্রতি৷
পরিবারে বইয়ের জায়গা
বাড়ি বই দিয়ে সাজিয়ে তুলুন৷ তবে শুধু সাজানোই নয়৷ সেগুলি পড়তেও হবে৷ সন্তানের কাছে যেন এই বার্তা যায় যে বই উপভোগ্য৷ বই নিছক ঘর সাজানোর উপকরণ নয়৷
আরও পড়ুন : নতুন বছরের শীতে মিষ্টি আলু খাওয়ায় রাশ না টানলেই নয়, জেনে নিন কেন!
সন্তানকে নিয়ে লাইব্রেরি যান
অবসরে নিয়মিত সন্তানকে নিয়ে যান লাইব্রেরিতে৷ সময় কাটানোর জায়গা মানেই যে শপিং মল বা অ্যামিউজমেন্ট পার্ক নয়, সেটা বুঝতে দিন সন্তানকে৷ তাকে পাঠাগারে নিয়ে যান৷ পছন্দসই বই বেছে নিতে দিন৷ এভাবেই ধীরে ধীরে লেখক ও সাহিত্যজগতের সঙ্গে ওর পরিচয় তৈরি হবে৷
দৈনিক রুটিনের অঙ্গ বইপড়া
বইপড়া এবং লেখার জন্য রোজ কিছুটা হলেও সময় রাখতে বলুন সন্তানকে৷ পড়াশোনার বাইরে কিছুটা সময় থাকুক সিলেবাসের বাইরে অন্য বই পড়া এবং অন্য লেখালেখির জন্য৷ এতে সৃষ্টিশীলতা বাড়বে৷
আরও পড়ুন : ঠান্ডা থেকে বাঁচিয়ে শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখে এই সহজলভ্য সব্জিগুলি
তবে বইপড়ার অভ্যাস একদিনে তৈরি হয় না৷ আপনাকে ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে৷ দেখবেন, সন্তান যেন বই থেকে আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে৷ দেরি না করে চেষ্টা শুরু করুন তাড়াতাড়ি৷ কারণ বইপড়ার অভ্যাস তৈরি হয় শৈশবেই, বড়বেলায় নয়৷