সন্ধ্যায় দরজা-জানলা বন্ধ রাখা:
সন্ধ্যাবেলায় ঘরের আলো জ্বালানোর আগেই দরজা-জানলা বন্ধ করে দিতে হবে। মাথায় রাখা জরুরি যে, দরজা-জানলা বন্ধ না করে ঘরের আলো জ্বালানো চলবে না। আসলে মথের মতো পতঙ্গ আলোর চারপাশে ঘোরাফেরা করে। এই কারণেই ঘরের আলো জ্বালানোর আগে বন্ধ করতে হবে দরজা-জানলা।
advertisement
ঘরে তৈরি মোমবাতি:
সন্ধ্যার পরে দরজা-জানলা বন্ধ করে আলো জ্বালানোর আগে ঘরে কিছুক্ষণের জন্য মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি মোমবাতি ব্যবহার করাই শ্রেয়। আসলে ঘরে মোমবাতি তৈরি করার ক্ষেত্রে এমন উপকরণ ব্যবহার করা যাবে, যা পোকামাকড় দূর করতে কার্যকর। তাই মোমবাতি তৈরি করার জন্য পেপারমিন্ট অয়েল এবং ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
আলো বন্ধ রাখা আবশ্যক:
বাড়ির ভিতর আলোর চারপাশে যদি পোকামাকড় কিংবা মথ ঘুরতে দেখা যায়, তাহলে কিছু সময়ের জন্য বাড়ির সমস্ত আলো বন্ধ করে রেখে দেওয়া উচিত। এর ফলে পোকামাকড় অল্প সময়ের মধ্যেই ঘরের বাইরের আলোর দিকে ধাবিত হবে। এছাড়া ঘরের আনাচে-কানাচে গাঁদা ফুল কিংবা তুলসী পাতাও রাখা যেতে পারে। এতেও পোকামাকড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন– রাখি পূর্ণিমায় এবার ভদ্রা! অশুভ সময় পার করে কখন বাঁধবেন রাখি, জেনে নিন বিস্তারিত
বাড়িতে বানানো এয়ার ফ্রেশনার:
পোকামাকড়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতেই তৈরি করা যেতে পারে এয়ার ফ্রেশনার। এর জন্য একটি পাত্রে কিছুটা বেকিং সোডা নিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে এক ফোঁটা করে ইউক্যালিপটাস এসেন্সিয়াল অয়েল ও সিট্রোনেলা এসেন্সিয়াল অয়েল এবং দশ ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে হবে। তার পর এই মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ঘরে মাঝেমধ্যেই স্প্রে করতে হবে। বিশেষ করে আলোর চারপাশে এই স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। এতে ঘর একেবারে পোকামাকড় মুক্ত থাকবে।
এই সব উপায় অবলম্বন করার পাশাপাশি বর্ষার দিনে পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা জরুরি। এর জন্য জানলা-দরজা, টিউবলাইট, বাল্ব সময়ে সময়ে পরিষ্কার করতে হবে। আর তার জন্য দুই মগ জলে এক কাপ ভিনিগার ও একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর একটি নরম পরিষ্কার কাপড় এই মিশ্রণে ডুবিয়ে দরজা-জানলা এবং বাল্ব-টিউবলাইট পরিষ্কার করতে হবে।