ধৈর্যশীল হওয়া আবশ্যক:
এমনিতেই সন্তান মানুষ করতে গেলে অভিভাবকদের অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল হওয়া দরকার। আর সন্তান যদি বার বার রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, তাকে বোঝানোর জন্য অভিভাবকদের আরও ধৈর্যশীল হতে হবে। আসলে অনেক সময় কিছু কিছু কারণে বাচ্চারা বদমেজাজি এবং রাগি হয়ে যায়। শান্ত ভাবে ধৈর্য ধরে সন্তানের সঙ্গে কথা বলে তাকে বুঝতে এবং বোঝাতে হবে।
advertisement
সহানুভূতিশীল হওয়া কাম্য:
বাচ্চাদের অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসাবে মানুষ করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। যা শিশুদের আরও বেশি ধৈর্যশীল হতে এবং অন্যদের বুঝতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : মদের প্রতি আসক্তি কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না? নিজের চরম ক্ষতি থেকে বাঁচতে উপায়
সন্তানের কথা মন দিয়ে শোনা উচিত:
সন্তান যখন কোনও কথা বলবে, তা মনোযোগ দিয়ে প্রতিটা অভিভাবকেরই শোনা উচিত। এতে সন্তানের মনের গভীরে কী চলছে, তার হদিশও পাওয়া সম্ভব হবে।
রাগের কারণ বোঝার চেষ্টা করা উচিত:
রাগের অনেক রকম কারণ থাকে। তাই যদি কখনও শিশু খুব রেগে যায়, তাহলে তার রাগের কারণ অনুধাবন করতে হবে এবং ঠিক কোন বিষয়টা শিশুর মনে রাগের উদ্রেক করছে, সেটা খুঁজতে হবে।
প্রতিক্রিয়াশীল হওয়াটা ঠিক নয়:
সন্তানের রাগ হলে অভিভাবকের কোনও রকম প্রতিক্রিয়া না-দেওয়াই উচিত। প্রতিক্রিয়া দিলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন : মদের প্রতি আসক্তি কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না? নিজের চরম ক্ষতি থেকে বাঁচতে উপায়
সন্তানের সামনে রাগ দেখালে চলবে না:
বাচ্চার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বহু সময়ই অনেক মা-বাবা রেগে বকাবকি করে থাকেন। যেটা আদতে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় শিশুর জন্য। এক্ষেত্রে শিশুর রাগ তো কমবেই না, উল্টে আরও বেড়ে যেতে পারে।
রাগকে বশে রাখার পন্থা শিক্ষণীয়:
রেগে গেলে রাগ নিয়ন্ত্রণের দারুণ কিছু কৌশল বাচ্চাদের শেখানো উচিত। যেমন– রেগে গেলে বড়-বড় শ্বাস নেওয়া অথবা এক গ্লাস জল খাওয়া কিংবা গান গাওয়া অথবা নাচ করা প্রভৃতি। আসলে এই সব উপায়ে দারুণ ভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই সন্তান রাগলে তাকেও রাগ নিয়ন্ত্রণের এই সব কৌশল শেখানো জরুরি।
আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি:
শিশুদের রাগ বশে আনতে হলে প্রথমেই রাগের নানা দিক তার সামনে তুলে ধরতে হবে। রাগ হলে শারীরিক ভঙ্গি কেমন হয়, অথবা রাগের সময়ে উল্টো দিকে থাকা মানুষের প্রতি আচরণ বা ব্যবহার কীভাবে বদলে যায়, সেই বিষয়েও শিশুদের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি করা একান্তই জরুরি।
আরও পড়ুন : সংখ্যাতত্ত্বে ৮ এপ্রিল; দেখে নিন কেমন যাবে আপনার আজকের দিনটি
শিশুদেরও স্পেস দেওয়া জরুরি:
সন্তানকে কখন নিজের মতো থাকতে দিতে হবে, তা অবশ্য মা-বাবাকেই বুঝতে হবে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, সন্তানকে একা থাকতে দেওয়া মানেই তাকে শাস্তি দেওয়া নয়। বরং শিশু যাতে নিজেকে ভাল ভাবে বুঝতে পারে, তার জন্য তাকে সময় দেওয়া উচিত।