তরমুজে যে বাইরে থেকে ক্ষতিকারক লাল রং মেশানো হয়েছে, হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল তামিলনাড়ুতে৷ তরমুজ খাঁটি কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে অভিযান চালিয়েছিল খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ দফতরের আধিকারিকরা৷
দ্য ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান চলাকালীন ২০০০ হাজার কেজিরও বেশি খাওয়ার অযোগ্য তরমুজ বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করেন সরকারি আধিকারিকরা৷ অভিযোদ বাজেয়াপ্ত করা তরমুজগুলির ভিতরে ক্ষতিকারক রাসয়ণিকের অস্তিত্ব মিলেছে৷ আধিকারিকদের দাবি, তরমুজগুলি নষ্ট হতে বসেছিল৷ তাই সেগুলিকে টাটকা এবং আকর্ষণীয় দেখাতেই ওই রাসায়ণিক মেশানো হয়৷
advertisement
কীভাবে ধরা পড়বে তরমুজে ভেজাল?
ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ দফতরের এক আধিকারিকের পরামর্শ, তরমুজ খাঁটি কি না তা কেনার সময় অথবা খাওয়ার আগে অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত৷ এক টুকরো তরমুজ কেটে একটি কাচের গ্লাসে জলের ভিতরেই ফেলতে হবে৷ তরমুজে রং মেশানো থাকলে জলের মধ্যে সেই রং মিশতে থাকবে৷
আরও পড়ুন: ‘হামাগুড়ি বাবু’ কে? মমতার মন্তব্যের পরই শুরু খোঁজ, মাথা চুলকোচ্ছেন তৃণমূল নেতারাও
এর পাশাপাশি তরমুজ খাঁটি কি না তা বোঝার আরও একটি উপায় বলেছেন ওই আধিকারিকরা৷ তাঁদের কথায়, একটি তরমুজকে দু ভাগ করে তুলো নিয়ে লাল অংশের উপরে ঘষতে হবে৷ যদি ঘষার পরেও তুলো সাদা থাকে তাহলে ঠিক আছে, তুলো লাল হতে থাকলেই বুঝতে তরমুজে রং বা রাসায়ণিক মেশানো হয়েছে৷ একই ভাবে সাদা টিস্যু পেপার বা কাগজ নিয়ে তরমুজের গায়ে ঘষেও এই পরীক্ষা করা সম্ভব৷
পাকা এবং খাঁটি তরমুজ চেনার উপায়
তরমুজের আকৃতি দেখেই বোঝা সম্ভব সেটি পাকা কি না৷ তরমুজের আকৃতিতে ভারসাম্য থাকলে, সেটি যথাযথ ভাবে পেকেছে বলে ধরে নিতে হবে৷ ত্যাড়া, ব্যাঁকা আকৃতির তরমুজ কাঁচা থাকারই সম্ভাবনা বেশি৷
পাকা তরমুজের বাইরে ঘন সবুজ রংয়ের হয়, তার সঙ্গে গায়ে ঘন লম্বাটে দাগ থাকে৷ যে তরমুজের গায়ের রং ফ্যাকাসে এবং গায়ে হাল্কা ছোপ রয়েছে, সেগুলি না কেনাই ভাল৷
পাকা তরমুজের গায়ে টোকা মারলে সেটি যে ভিতর থেকে ফাঁপা, এরকম আওয়াজ আসবে৷
পাকা তরমুজ মানে তার ওজন বেশি৷ কারণ পাকা তরমুজ মানে তা রসালো হবে, জলীয় পদার্থ বেশি থাকবে৷
তরমুজের যে অংশ মাটির দিকে রাখা থাকে সেই জায়গাটিতে যদি হাল্কা হলদেটে বা ঘিয়ে রংয়ের গর্ত মতো থাকে তাহলেই বুঝতে হবে তরমুজটি পাকা৷
তরমুজ যদি মিষ্টি হয় তাহলে তার গায়ে বাদামি রয়ের হাল্কা শিরার মতো দাগ ফুটে উঠবে৷