# নাকের ভিতরের অংশকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ শুষ্কতার কারণে নাক থেকে রক্ত পড়ে। তাই ন্যাজাল স্যালাইন স্প্রে (Nasal Saline Sprays) ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া নাসিকাগহ্বরের শুষ্কতা দূর করতে লুব্রিকেটিং মলম এবং পেট্রোলিয়াম জেলির মতো জেলজাতীয় পদার্থ ব্যবহার করতে হবে।
# ঘরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে ঘরে রাখতে হবে হিউমিডিফায়ার (Humidifier)। এছাড়া ঘন-ঘন সর্দি কিংবা অ্যালার্জির ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়, এতে নাক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন : তীব্র গরমে কোলের একরত্তিটাকে আরাম দিতে ও তরতাজা রাখতে মেনে চলুন এই সব উপায়!
# ধূমপানের অভ্যেস এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ এতে নাকের শুষ্কতার সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
# বার বার নাক খোঁটা কিংবা খুব জোরে-জোরে নাক ঝাড়া এবং নাক রগড়ানোর অভ্যেস থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে আঙুলের নখ যেন ছোট থাকে, যাতে নাক খোঁটাখুটি না-করতে পারে। এমনকী এই বদভ্যাস থেকে শিশুদের বিরত রাখার পাঠ দিতে হবে।
# একান্ত প্রয়োজনে তাপপ্রবাহের মধ্যে বেরোতে হলে মাথা-নাক-মুখ সুতির কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে সরাসরি সূর্যরশ্মিতে না-থাকার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া ঠান্ডা জল দিয়ে মাঝেমধ্যেই নাক ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন : শিথিল পুরুষাঙ্গ থেকে অন্ধত্ব, দায়ী কি অতিরিক্ত স্বমেহন? জানুন আসল ছবি
# নাক থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে স্টিম নেওয়া খুব ভালো একটা পন্থা। স্টিম নিলে নাসিকাগহ্বর আর্দ্র হয় এবং অস্বস্তি বা চুলকানির সমস্যাও দূর হয়।
নাক থেকে রক্ত পড়া রোধ করার কিছু ঘরোয়া টোটকা:
# ভিনিগারে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে নিয়ে তা নাকের ভিতরে দিতে হবে। যতক্ষণ না-রক্ত বন্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ এই মিশ্রণ বুলিয়ে যেতে হবে।
# নাকের উপর বরফ ঘষতে হবে। এতে নাকের রক্তবাহী নালিগুলোর ফোলাভাব কমবে এবং রক্ত পড়ার সমস্যা ও ব্যথা দূর হয়।
আরও পড়ুন : রাতে ভাল ঘুমের পরও চোখের নীচে কালি? এই কারণগুলি দায়ী নয় তো?
# ডায়েটে বেশি পরিমাণে ভিটামিন-সি যোগ করতে হবে। কারণ এই ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং এতে রক্তও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
# গরমের দিনে ফলের রস এবং জল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এটা নাকের শুষ্কতা দূর করে।
# জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই মিশ্রণ স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে হবে। নাক শুষ্ক হয়ে গেলে নাসারন্ধ্রে ওই মিশ্রণ স্প্রে করে নাসিকাগহ্বর আর্দ্র রাখতে হবে।