রাঁচির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. ভি কে পান্ডে আমাদের এর উত্তরে জানিয়েছেন যে, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে। এর জন্য তিনি নানা কারণকে দায়ী করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হল তাঁদের দৈনন্দিন রুটিন।
আরও পড়ুন: আগাছার মতো চেহারা, কিন্তু শরীরের গিটে গিটে ব্যথা দূর করার মহৌষধ এটি! চুইঝাল চেনেন?
advertisement
বিশেষ করে বিবাহিত মহিলারা সংসারের চাপে নিজেদের রুটিন খারাপ করে ফেলেন। মহিলারা প্রায়শই নিজের কথা না ভেবে আগে তাঁদের পরিবারের যত্ন নেন। এই কারণে, অনেক সময় তাঁরা পুষ্টিকর খাবার ও নানা সুঅভ্যাস উপেক্ষা করে বসেন।
ব্রেকফাস্ট দেরি করে খাওয়া
ডা. পান্ডে আমাদের জানিয়েছেন যে, মহিলাদের থাইরয়েডের কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ। দেখা গিয়েছে, নারীরা প্রায়ই তাঁদের পরিবার বা সন্তান নিয়ে চিন্তিত থাকেন বা ছোটখাটো বিষয়ে রাগ করে বা খিটখিটে হয়ে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলেন। এর কারণে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়। একই ভাবে, অনেক সময়েই মহিলারা সকাল ১১-১২টা পর্যন্ত ব্রেকফাস্ট না করেই কাটিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: যাঁরা নিয়মিত মেথি চা খায়, তাঁদের ওষুধ লাগে না! শুধু জানতে হবে খাওয়ার সঠিক কায়দা
দৈনন্দিন রুটিনও দায়ী
তিনি আরও বলেন যে, এত দেরিতে ব্রেকফাস্ট করলে অসুস্থ হওয়াই স্বাভাবিক। হামেশাই দেখা যায় নারীরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে, তারপর সব কাজ শেষ করে ব্রেকফাস্ট খান। একই সঙ্গে পুরো পরিবারকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পর, নিজের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার উপেক্ষা করেন। দৈনন্দিন রুটিনের অবনতি, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাইরয়েডের প্রধান কারণ, যা বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়।
ঘরোয়া প্রতিকার
ডা. ভি কে পান্ডে বলেছেন যে, থাইরয়েডের ঘরোয়া প্রতিকার হল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম করা। এছাড়া কিছুটা সময় ধ্যান করা এবং দৈনন্দিন রুটিন নিয়মিত পালন করা প্রয়োজন। ব্রেকফাস্ট ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে করে নেওয়া উচিত। নিজেদের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর শাকসবজি এবং শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। এতে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। সুষম খাদ্য, যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন থাইরয়েডের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।