তবে এই ঠেকুয়া খেতে হলে আপনাকে আসতে হবে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরে। ঠেকুয়ার জন্য এই শহর আজ অত্যন্তই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাঙালি-অবাঙালি সমস্ত ঠেকুয়াপ্রেমীদের কাছে। রঘুনাথপুর শহরের পিডাব্লিউডি অফিসের সামনে অবস্থিত ‘রাজেন টি স্টল।’ শহরের এই ছোট্ট চায়ের দোকানেই বছরের প্রতিটি দিন মিলবে ঠেকুয়া। পাশাপাশি বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের জনপ্রিয় খাবার লিট্টি চোখাও পেয়ে যাবেন ছোট্ট এই চায়ের দোকানে। সঙ্গে অবশ্যই আগুনে পোড়া মাটির ভাঁড়ে গরমাগরম চা। ব্যবসায়ী রাজেন রায় জানান, এই ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি ঠেকুয়া বিক্রি করে থাকেন তিনি। রঘুনাথপুর শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ঠেকুয়াপ্রেমীদের দোকানে ভিড় লেগেই থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : পাকা চুল হাত দিয়ে টেনে তুললে মাথার বাকি চুলও সাদা হয়ে যায়? মাথা হয়ে যায় শনের নুড়ি? বিপদ এড়াতে জানুন
ঠেকুয়া একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা সাধারণত ছট পুজোয় তৈরি করা হয়। পুজোর মুখ্য প্রসাদ হিসেবে সূর্য দেবতাকে উৎসর্গ করা হয় এই ঠেকুয়া। ভক্তদের বিশ্বাস, ঠেকুয়া নিবেদন করলে সূর্যদেবতা তুষ্ট হন। এই ঠেকুয়া বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। একে খাজুরিয়া বা ঠিকারিও বলা হয়ে থাকে। খুব সামান্য উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই আপনি বানিয়ে ফেলতে পারবেন বিহারের জনপ্রিয় এই পদ।
আটা, ময়দা, চিনি, শুকনো ফলের গুঁড়ো, অল্প একটু নুন একসঙ্গে মেখে আগে থেকে ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম করে রাখা আভেনে ১৫-২০ মিনিট বেক করলেই তৈরি এই ঠেকুয়া। এর মধ্যে ইচ্ছেমতো কাজু অথবা চকো চিপস্ও মেশাতে পারেন। তবে আরও বেশি স্বাদের জন্য এর মধ্যে এলাচ অথবা জায়ফল গুঁড়োও দিতে পারেন।