তবে আনুমানিক প্রায় কয়েকশো বছর আগে বেশ কয়েক ঘর পুরোহিতের হাতে স্থাপিত এই মন্দিরের ইতিহাস খুব বেশি সংরক্ষিত না থাকলেও পরবর্তীতে তাদের বংশধর চ্যাটার্জি পরিবারের অনেকেই এখন সেখানে থাকেন না। এ প্রজন্মের যুবক দীপক চ্যাটার্জী জানাচ্ছেন এর আগে কখনও সহযোগিতার প্রয়োজন হয়নি, তবে সম্প্রতি বছরখানেক আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটি মন্দিরের চূড়ার অংশ ভেঙে পড়ে ভগ্নপ্রায় হয়ে গিয়েছে সেই সময়কার চুন-সুড়কির বেশ কয়েক শতাব্দী প্রাচীন দেওয়ালগুলি। তাই তাদের সাধ্য অনুযায়ী নির্মাণের কাজ শুরু হলেও সমগ্র মন্দির সারানোর সামর্থ্য নেই, তাই পাড়া বারোয়ারির মাধ্যমে সমস্ত শান্তিপুরবাসীকে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন।
advertisement
তবে কালনার ১০৮ শিব মন্দির লোকমুখে প্রচারিত, দিগনগরের রাঘবেশ্বর মন্দির, শান্তিপুর তিলিপাড়ার জলেশ্বর মন্দির প্রচারের আলোকে রয়েছে এই মন্দির হয়তো বর্তমানে ততটা প্রচার না পেলেও ঐতিহ্য এবং প্রাচীনত্বর দিক থেকে কোনও অংশেই কম নয়। এটাও হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র, দর্শনীয় স্থান ভক্তদের বিশ্বাস এবং আবেগের মন্দির। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, কোনও রাজনৈতিক দলেরই মন্দিরের সংস্কার নিয়ে মাথাব্যথা নেই। এত প্রাচীন একটা ইতিহাস শেষ হতে বসেছে, এলাকাবাসীরা অবশ্য জানাচ্ছেন ভুল তাদের পক্ষ থেকেও কিছুটা রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়নি এবার তারা পৌঁছবেন সকলের কাছেই।
শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান জানাচ্ছেন, মন্দির ব্যক্তিগত সম্পত্তি কিনা তা জানা নেই তবে দুয়ারে সরকার পাড়ায় সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর নানান প্রকল্পে তারা তাদের ইচ্ছার কথা জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই প্রাচীন মন্দির হিসাবে তারা নিশ্চয়ই সংস্কারের সহযোগিতা পেতে পারেন পৌরসভার কাছেও লিখিতভাবে জানালে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর নিশ্চয়ই দেখবেন।
Mainak Debnath