মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসা, মাড়ি থেকে রক্তপাত, দাঁতে হলদে আস্তর জমা, দাঁত ও মাড়ি দুর্বল হওয়া, পায়রিয়া, দাঁতে কিডে লাগা ইত্যাদি সমস্যায় অনেক মানুষ ভোগেন। এমনকি অনেকে দিনে দু’বার ব্রাশ করলেও এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পান না।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর মশা কি শুধু সকালে কামড়ায়? জানুন কখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ও কীভাবে সতর্ক থাকবেন…
advertisement
আসলে ওরাল হেলথকে প্রায়ই অবহেলা করা হয় এবং এই সমস্যাগুলি বড় বিপদ ডেকে আনে। আপনি যা খান বা পান করেন, তার কিছু কণা দাঁতের গোড়ায় আটকে থাকে এবং ধীরে ধীরে মাড়ির ভেতরে চলে যায়। এই ময়লাকে প্ল্যাক বা টার্টার বলা হয়, যা দাঁতে হলদে দাগ ও ক্ষয়ের কারণ হয়। ধূমপান ও মদ্যপান থেকেও এই ময়লা তৈরি হতে পারে।
দাঁতের পাউডার তৈরির উপকরণ – ৫০ গ্রাম নিমপাতার গুঁড়ো, ২৫ গ্রাম লবঙ্গ গুঁড়ো, ২৫ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো, ২৫ গ্রাম সেন্ধা লবণ, ২৫ গ্রাম বেকিং সোডা।
কীভাবে বানাবেন – কয়েকটি নিমপাতা ছিঁড়ে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। বাকি উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আপনার আয়ুর্বেদিক ডেন্টাল পাউডার প্রস্তুত। এটি একটি এয়ার-টাইট কন্টেনারে সংরক্ষণ করুন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন – দিনে দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। সকালে ও রাতে এক চামচ পাউডার হাতের তালুতে নিন এবং ব্রাশ দিয়ে হালকা করে দাঁত পরিষ্কার করুন। এরপর কুলকুচি করে নিন এবং আঙুল দিয়ে দাঁত ও মাড়িতে ২-৩ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করুন।
যা খেয়াল রাখবেন – বিশেষজ্ঞের মতে, এই পাউডার ব্যবহারের সময় বাজারে প্রচলিত টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না। কেবল এই আয়ুর্বেদিক পাউডারই ব্যবহার করতে হবে। এতে ভাল ফলাফল পাবেন।
এই আয়ুর্বেদিক পাউডার নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ, মাড়ি থেকে রক্তপাত, দাঁতের ব্যথা ও সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। পাশাপাশি এটি জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে, মাড়িকে শক্ত করে এবং দাঁতের ইনফেকশন নিরাময় করতে সাহায্য করে।
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।