TRENDING:

সুস্বাদু খাবার খেতে চান, ‘কম’ জানা এই মশলাগুলিতেই হতে পারে ম্যাজিক, চিনে নিন

Last Updated:

Tasty Food: খাবারের স্বাদে আলাদা মাত্রা যোগ করবে দেশ-দুনিয়ার বিরল কিছু মশলা, দেখে নিন এখনই!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: খুব সামান্যতম মশলা (spices) যোগ করেই সাধারণ খাবারকেও অসাধারণ করে তোলা যায়। আর ভারত তো এমনিতেই মশলার জন্য জগৎ বিখ্যাত। আসলে আমাদের দেশে নানা ধরনের মশলা এবং হার্ব বা ভেষজ উৎপন্ন হয়। আর তা রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার দেশের বিভিন্ন প্রদেশের বিশেষ কিছু মশলা রয়েছে, যাদের সম্পর্কে আমাদের সেরকম কোনও ধারণাই নেই। ঠিক তেমনই সারা বিশ্বে এমন বহু মশলা আছে, যাদের বিষয়েও আমরা ওয়াকিবহাল নই। তাই জেনে নেওয়া যাক, দেশ এবং দুনিয়ার অজানা অথবা বিরল কিছু মশলা বা ভেষজের বিষয়ে।
lesser known herbs and spices are worth trying,from Bhut Jolokia to radhuni- Photo- Collected
lesser known herbs and spices are worth trying,from Bhut Jolokia to radhuni- Photo- Collected
advertisement

ভূত জোলোকিয়া (Bhut Jolokia)

এটি আসলে একটি লঙ্কা বা মরিচ। এটি পূর্ব ভারতের দিকে বেশ প্রচলিত। ভূত জোলোকিয়াকে আবার কেউ কেউ ভূত মরিচ (ghost pepper) নামেও অভিহিত করে থাকেন। বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল লঙ্কাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। আচার, চাটনি, মরিচ তেল এবং মশলা তৈরিতে ভূত জোলোকিয়া ব্যবহার করা হয়। এমনকী ভূত জোলোকিয়া বোমা তৈরির কাজেও ব্যবহৃত হয় এবং আশ্চর্যের বিষয়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও এর বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন - চুলের যত্ন নিন...গ্রীষ্মে চুলের বারোটা বেজে যায়, রইল সহজ টিপস

সুম্যাক (Sumac)

দুনিয়ার বিরল মশলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সুম্যাক। সুম্যাক গুল্মের গাঢ় লাল বেরিজাতীয় ফল থেকেই বের করা হয় অমসৃণ ধরনের এই মশলা। অনেকটা টার্টের মতো স্বাদের এই মশলা মাছ এবং মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। আসলে যে কোনও খাবারে এই মশলাটি একটা সুন্দর এবং গাঢ় রঙ এনে দিতে সক্ষম।

advertisement

রাঁধুনি (Radhuni)

বাঙালির হেঁশেলে রাঁধুনি একটি অত্যন্ত পরিচিত মশলা। যা আজমদ (Ajmod) নামেও পরিচিত। সাধারণত ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারে এই সুস্বাদু মশলাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন– শুক্তো রান্নায় রাঁধুনি অপরিহার্য। আবার অনেক ক্ষেত্রে রান্নার সময় ফোড়ন হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এই মশলাটি।

আরও পড়ুন - Weather Update: স্বস্তির কালো মেঘে কি বৃষ্টি হবে বাংলায়, একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি মৌসম বিভাগের

advertisement

অ্যানাটো (Annatto)

এই অ্যানাটো হল দক্ষিণ আমেরিকার একটি মশলা। একে আচিওতে (Achiote) বলেও ডাকা হয়। মাখন, চিজ, স্মোকড ফিশ এবং মার্জারিন তৈরি করতে রং হিসাবে ব্যবহার করা হয় লাল রঙের এই বিদেশি মশলাটিকে। সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে আচিওতে গাছের বীজ থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়।

আমচুর (Amchur)

advertisement

আমচুর হল একটি অতুলনীয় ভারতীয় মশলা। যা কাঁচা আম শুকিয়ে তৈরি করা হয়। আচার, চাটনি, তরকারি এবং স্টাফড সবজির মতো সুস্বাদু খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই দেশি মশলাটি। বিশেষ করে টক-মিষ্টি খাবারে আলাদাই মাত্রা যোগ করে আমচুর। আর এই মশলা খাবারে আনে টক, মশলাদার এবং টার্টের মতো স্বাদ।

রতন জোত (Ratan Jot)

রতন জোত আবার অ্যালকানেট রুট বা অ্যালকানেট মূল নামেও পরিচিত। আর আমরা সকলে নিশ্চয়ই সুস্বাদু রোগান জোশের সম্পর্কে শুনে থাকি। এই পদটিকে স্বাদে অতুলনীয় করে তোলার জন্য রতন জোত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বিষয়টা আবার অনেকেই বোধহয় জানেন না। আসলে যে কোনও কাশ্মীরি খাবারে চমক আনতে এবং প্রাকৃতিক রঙ হিসেবে ব্যবহার হয় রতন জোত।

গালাঙ্গল (Galangal)

গালাঙ্গল আসলে গাছের মূল থেকে প্রাপ্ত একটি মশলা, যা অনেকটা আদার মতো দেখতে হয়। আবার এটা আদার মতো দেখতে হলেও এতে থাকে সাইট্রাস এবং পাইনের মতো সুগন্ধ। গালাঙ্গল সাধারণত থাই, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার রেসিপিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মাছের পদ যাতে স্বাদকোরককে চাঙ্গা করে দিতে পারে, তার জন্য তাতে যোগ করা হয় গালাঙ্গল। সেই সঙ্গে তরকারিতে সুঘ্রাণ এবং ভেষজ স্বাদ আনতেও এই মশলা ব্যবহার করা হয়।

জুনিপার বেরি (Juniper Berries)

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবুও মাথায় হাত! পান চাষ করে কেন সমস্যায় চাষিরা?
আরও দেখুন

জিন এবং টনিকে স্বাদ ও গন্ধের উপাদান হিসেবে জুনিপার বেরি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ইউরোপেই এর চাষ করা হয় এবং ইউরোপীয় খাবারেই এটি ব্যবহৃত হয়। এই জুনিপার বেরিতে অনেকটা টার্টের মতো স্বাদ এবং গন্ধ থাকে। তাই এটি টোফু জাতীয় খাবার এবং কেক ফ্রস্টিং-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
সুস্বাদু খাবার খেতে চান, ‘কম’ জানা এই মশলাগুলিতেই হতে পারে ম্যাজিক, চিনে নিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল