ইতালির ন্যাশানাল হেলথ ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, সেই দেশে আক্রান্তের ৬০ শতাংশ পুরুষ। মৃত্যুহারে আরও এগিয়ে পুরুষরা। যে ৬ হাজার মানুষ এ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন তার ৭০ শতাংশই পুরুষ। শুধু ইতালি নয় একই ট্রেন্ড দক্ষিণ কোরিয়াতেও। সেখানে আক্রান্তের ৫৪ শতাংশ পুরুষ। বিষয়টি নজরে এসেছে হোয়াইট হাইজেরও। হোয়াইট হাউজের তরফেও এই সংক্রমণ বিষয়ক কোঅর্ডিনেটার ডিবোরা ব্রিক্স বলেন, ইতালিতে দেখ যাচ্ছে, যে কোনও বয়েসের ক্ষেত্রেই মহিলার তুলনায় পুরুষ আক্রান্ত হচ্ছে অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন?
advertisement
চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে পুরনো কোনও অসুখ থাকলে তবে করোন সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এখানেই হেরে যাচ্ছে পুরুষরা। চিকিৎ সকরা বলছেন, তুলনামূলক ভাবে পুরুষের জীবনযাপন অনিয়ন্ত্রিত। অপরিমিত নেশার ক্ষেত্রেও এগিয়ে পুরুষ আবার ক্রনিক কোনও রোগও পুরুষকে বেশি আক্রমণ করে। যেমন, ১৯৯০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মোট ১৯৬ টি দেশে ঘুরে করা একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে, দশ হাজার মানুষের মধ্যে সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার হার, পুরুষের ক্ষেত্রে ১১৮১, মহিলার ক্ষেত্রে ৯০৬। ১৯২৪ জন পুরুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মহিলা আক্রান্ত হন ১৪১২ জন।
ফলে চিকিৎসকদের নিদান এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় পুরুষকে সবার আগে বাদ দিতে হবে জীবনযাপনের অনিয়ন্ত্রণ। ত্যাগ করতে হবে বহু কু-অভ্যাস। অস্তিত্বই যখন সংকটে তখন নিজেকে বদলাতে পারবে কী পুরুষ, সেটাই দেখার।
