সজনে গাছকে বলা হয় পুষ্টির ভাণ্ডার। সজনে মূল, কান্ড, বাকল এবং পাতায় অনেক ধরনের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী বৈশিষ্ট্য লুকিয়ে রয়েছে। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থেও সজনের উল্লেখ রয়েছে। সজনেতে এমন অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাক এবং ক্যানসারের মতো রোগ দূর করে। সজনে গাছ এবং এর বীজে লুকিয়ে রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এর শিকড় ও বাকলও নানা পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ।
advertisement
সজনে অ্যান্টিবায়োটিক, বেদনানাশক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিক্যানসার, অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিএজিং হিসাবে কাজ করে। এর পাতায় উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। প্রায় ১০০ গ্রাম সজনে পাতায় ৪৪৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা আকর্ষণীয় পুরুষ কারা? তালিকায় এল ১০ নাম, চোখ সরানো দায়! হৃত্বিক কত নম্বর?
মাটির নিচে জন্মায় বলে ওলকে বলা হয় পুষ্টির ভান্ডার। ওল নিয়মিত সেবন করলে পাইলসের মতো মারাত্মক রোগেরও চিকিৎসা করা যায়। ওলের নির্যাস আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ সারাতে উপকারী। ওলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার ও আয়রন পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ওলে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, তাই ওল সেবন করলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। যদি আমরা শীতকালে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম ওল খাই তাহলে আমাদের শরীরে আর কোনও রোগ থাকবে না। তাই শারীরিক দুর্বলতা, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ এড়াতে এটি নিয়মিত খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: খোসা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে কমলালেবুর কোয়া আর কত খাবেন? মিষ্টি লেবু দিয়ে এই পদ বানান, মুখে লেগে থাকবে!
তিল সুপার ফুড হিসাবে বিবেচিত হয়। তিলের বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তিল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তিলের বীজ খেলে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিলের নাড়ু বা গজা বানিয়ে নিয়মিত সেবন করা যায়। তিলের বীজে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং গুড ফ্যাটের মতো অনেক পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। যা হাড় মজবুত করতে, ফোলাভাব কমাতে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
ফ্ল্যাক্সসিড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ভিটামিন বি ১, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং জিঙ্কের মতো অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে। নিয়মিত ফ্ল্যাক্সসিড খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতকালে এটি খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে উষ্ণতা আসে, উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন কমাতেও এটি সহায়ক। এটি ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগকেও হার মানায়।
বাজরাকেও সুপার ফুড বলা হয়। বাজরাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং রিবোফ্লাভিন, ফলিক অ্যাসিড, থায়ামিন, নিয়াসিন এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো পুষ্টি উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের রোগীদের জন্য বাজরা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।