তাই ত্বক ভালো রাখতে, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়, শরীরের খোলা অংশে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বেরনো উচিত। শুধু তাই নয়, প্রতি দুই বা তিন ঘণ্টা অন্তর এটি ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়। ত্বকের নানা সমস্যার হাত থেকেও রক্ষা করে সান স্ক্রিন (usefulness of sunscreen)।
সেরা সানস্ক্রিন বাছার পদ্ধতি
বাজারে নানান ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে ত্বকের পক্ষে উপযুক্ত সানস্ক্রিন অনেকেই নির্বাচন করে উঠতে পারেন না। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে এসপিএফ-এর পরিমাণ। এসপিএফ-এর জন্যই সূর্যের আলোতে থাকলেও ত্বক সুরক্ষিত থাকে৷ এসপিএফ ১৫,৩০, এইগুলো ত্বকের জন্য ভালো৷ এসপিএফ ১৫ মেখে রোদে ১৫০ মিনিট থাকতে পারা যায়৷ কোন সমস্যা হয় না৷ এসপিএফ ৩০ মেখে আরও বেশি সময় থাকা যায়৷
advertisement
সানস্ক্রিন ত্বকের উপর প্রলেপ তৈরি করে, এই কারণে অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ভিতরে যেতে পারে না৷ এতে থাকে- পেডিমেট, সিনামেট, স্যালিসাইলেটস, অক্সিবেঞ্জন, জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটেনিয়াম অক্সাইড ও প্যারাঅ্যামিনো বেঞ্জয়িক অ্যাসিড৷ কোলেজিন, ক্যারোটিন ও ইলাস্টিনের মতো প্রোটিন বককে মোলায়েম ও সুস্থ রাখে। আবার টাইটেনিয়াম অক্সাইড ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন : কেক তৈরি থেকে গ্যাসের আভেন পরিষ্কার, কমলালেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করুন নানা কাজে
ব্যবহারের পদ্ধতি
বাইরে বেরনোর অন্তত ১০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তবে এই ক্রিম বা লোশন লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই তা ত্বকে টেনে নেয়। তাই দু'ঘণ্টা অন্তরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। সারাদিনের পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই আগে ভালো করে সানস্ক্রিন ত্বক থেকে তুলে ফেলতে হবে। ফেসওয়াশ দিয়ে ঠাণ্ডা জলে ভালো করে মুখ ধুয়ে নেওয়া উচিত৷ তারপর টোনার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ভালো কোন ময়েসচারাইজার লাগাতে হয়।
আরও পড়ুন : কেক তৈরিতে অনভিজ্ঞ? কোনওবার মনের মতো হয় না কেকের স্বাদ? রইল টিপস
সানস্ক্রিনের সুফল
অতিবেশগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়
ইউ ভি-এ, ইউ ভি-বি, ইউ ভি- সি এই তিন ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত রশ্মি সূর্যের আলোতে থাকে৷ এর থেকে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয় যেমন- ত্বকে কালো ছোপ পরে যাওয়া, অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা দেখা দেওয়া, এমনকি এই রশ্মির প্রভাবে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে৷ সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা হওয়ার থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়৷
আরও পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহে কী করে সদ্যোজাতকে সুস্থ রাখবেন?
এজিং থেকে রক্ষা করে
সানস্ক্রিন ত্বকের ওপর একধরণের সুরক্ষা কবচ তৈরি করে। যার ফলে সূর্য রশ্মি সরাসরি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না। এর ফলে ব্লেমিশেজ, ফাইন লাইন ও বলিরেখার হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত থাকে।
ট্যানিং ও সানবার্ন থেকে বাঁচায়
সূর্যের রশ্মি সরাসরি শরীরের খোলা অংশে পড়লে, তা কালো হয়ে যেতে শুরু করে। এই অবস্থাকে ট্যানিং বলা হয়। সানস্ক্রিন ত্বককে ট্যানিংয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৩০ বা তার চেয়ে বেশি এসপিএফ বিশিষ্ট সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়াও সূর্যের তীক্ষ্ণ রশ্মির কারণে কখনও কখনও ত্বক পুড়ে যায়। এর ফলে সানবার্ন হয়। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
তবে সেনসিটিভ ত্বক হলে বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত সানব্লক যা ১৫ মাত্রার সেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। ঠোঁটের জন্য সানস্ক্রিন যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো৷