পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার দাঁতনে রয়েছে এমনই বেশ কিছু ইতিহাসের নিদর্শন। যার মধ্যে অন্যতম মোগলমারী এবং মোগলমারী থেকে অনতি দূরেই রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। যা ঘুরে দেখলে আপনার মন ভরবে। বাড়ির কাজের পর কিংবা অফিসে ছুটির পর সূর্য পশ্চিমে গড়ালে পরিবার পরিজন বন্ধুকে বা প্রিয়জনদের নিয়ে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুমোনোর সময় এই ভুল করছেন না তো? সব শেষ হয়ে যাবে! রোগে ধরবে! চরম অভাবে পড়বেন! জানুন
বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো মোগলমারী বৌদ্ধ বিহার। যার বেশ কিছুটা অংশ খননে উদঘাটিত হয়েছে। এখনও হয়ত মাটির নীচে এই স্থাপত্যের অনেকাংশই থাকলেও বাইরে পর্যটকদের জন্য সাজানো হয়েছে বৌদ্ধ বিহারটিকে। এছাড়াও এই বৌদ্ধ বিহার খননে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র, পাথর সহ একাধিক জিনিস সাজানো রয়েছে সুসজ্জিত মিউজিয়ামে। শুধু তাই নয়, এখানে এলে দেখতে পাবেন প্রাচীন কালের দেওয়ালে তৈরি বিভিন্ন স্ট্রাকো মূর্তি, চুন সুরকির দেওয়ালে নানান কারুকার্য সহ ইতিহাসের নানা নিদর্শন।
মোগলমারী ঘোরা শেষ করে অনতি দূরে রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। যেখানে গেলেই আপনি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন রাজাদের জীবন যাত্রার নানা দিক। শুধু তাই নয়, বর্তমান ঘরের তুলনায় রাজবাড়ির অন্দরমহল, তাদের রাজবাড়ির দেওয়াল কিংবা বারান্দার নানা কারুকার্য সহ রাজাদের সময়ে ব্যবহৃত ধ্বংসপ্রাপ্ত নাট্যশালাও। এখানে এলে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন আজ থেকে কয়েকশো বছর পুরানো রাজাদের জীবনশৈলী, তাদের পারিবারিক প্রথা এবং তাদের জীবনযাত্রার নানা ছবি।
তবে এই গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে অফিসের কাজ, পরিবার সামলে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? তাই অবশ্যই নিজের মনকে একটু শান্তি দিতে বিকেলে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসে নানা দিক। শুধু আপনার মন ভরবে তা নয়, ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারাও জানতে পারবে ইতিহাসকে।
রঞ্জন চন্দ