ভারতের রূপচর্চার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ব্যবহার হচ্ছে গোলাপ জল। ত্বকের সার্বিক যত্ন ছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যায় ব্যবহার করা যায় গোলাপ জল। প্রতিদিন স্নানের পর কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলাপ জল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া গোলাপ জল মুখের সতেজ ভাব ধরে রাখে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক গোলাপ জলের কাজগুলো।
advertisement
আরও পড়ুন: বিমাবন্দরের লাগেজ বেল্টে প্যাকিং করা মৃতদেহ! তুমুল ভাইরাল ভিডিও
ত্বককে রিহাইড্রেট ও রিফ্রেশ করে: গ্রীষ্মকাল মানেই দরদরিয়ে ঘাম। ফলে ত্বক খুব সহজেই আর্দ্রতা হারায়। গোপাল জল ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে। সতেজ রাখে। গোলাপ জল ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও খুবই ভালো। ত্বককে পুষ্টি দেয়। প্রতি দিন গোলাপ জল ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ হয়। জেল্লা ও টানটান ভাব বজায় থাকে। গোলাপ জল মুখে ব্যবহার করার মাত্র কয়েক সেকেন্ডে মনকে সতেজ করে দেয়। এর সুন্দর গন্ধে মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে। যার ফলে স্ট্রেস দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিছানায় যৌন তৃপ্তির চূড়ায় পৌঁছতে চান? শুধু রান্নাঘরে উঁকি দিলেই হবে!
ত্বকের পিএইচ লেবেল বজায় রাখে: ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটা কথা খুবই বলতে শোনা যায় পিএইচ লেবেল। দূষণ ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ইত্যাদির জন্য ত্বক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে এই পিএইচ লেবেলে পার্থক্য হয়, এর জন্য ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়। গোলাপ জল এই লেবেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বককেও সতেজ রাখে।
ত্বকের জ্বালা এবং লালভাব প্রশমিত করে: গরমকালে অনেকক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকে লালভাব দেখা যায়। একইসঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং চুলকোয়। অতিরিক্ত রোদে পোড়ার কারণেই এমনটা হয়। এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে গোলাপ জল। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বক শীতল এবং শান্ত হয়।
ব্রন, বলিরেখা কমায়, টোনারের কাজ করে: গোলাপ জল খুব ভালো টোনার। ত্বকের অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের পরিমাণ বজায় রেখে ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ রাখে। এর ফলে দাগ-ছোপ, ব্রনর মতো সমস্যার সমাধান হয়। মুখে স্ক্রাবার লাগালে, মনে করে গোলাপ জল লাগাতেই হবে।
ত্বকে প্রাকৃতিক আভা এনে দেয়: প্রচণ্ড গরমে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় তখন ত্বক প্রাকৃতিক তেল তৈরি করতে শুরু করে। নিঃসৃত এই তেল ত্বকের উপরিভাগে আটকে যায়। যার ফলে ত্বক আঠালো হয়ে ওঠে। এর ওপর ভুল পণ্য ব্যবহারের ফলে ব্রন এবং হোয়াইটহেডসের মতো সমস্যা দেখা যায়। গোলাপ জল এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এটা ত্বকের গভীর স্তরগুলোকে পরিষ্কার করে এবং প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল দেখায়।