আসলে প্রচণ্ড গরমে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বদ হজম, পেটের গোলমাল, এমনকী ভিটামিন মিনারেলের ঘাটতি জনিত অসুখ দেখা দিতে পারে। আবার গরমে খাবার দাবার নষ্ট হয়েও যায় খুব তাড়াতাড়ি। তাই এ সময় সতর্ক ভাবে খাওয়া দাওয়া করা দরকার। টাটকা ফল ও শাক-সবজি এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত।
কী কী খাওয়া দরকার এই গরমে?
advertisement
টক দই বা ঘোল:
টক দই খুবই উপকারী। এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন আর প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই খাবার।
আমলকী:
ভিটামিন সি এবং ফাইবারের পূর্ণ এই ফল শরীরের কোলাজেন বুস্টার হিসেবে কাজ করে। এমনিতেই এটি চুল এবং হৃদপিণ্ডের পক্ষে বেশ ভাল। রোদের থেকে হওয়া ত্বকের ক্ষতিও ভিতর থেকে সামলায় আমলকী। কাঁচা আমলকী খাওয়া যায়, আবার রস করে মধু দিয়েও খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দেরি করে ডিনার করছেন? জানেন কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে? ঠিক ক'টায় রাতের খাবার খাবেন?
স্যুইট কর্ন:
ভিটামিন এ, বি, ই সমৃদ্ধ স্যুইট কর্ন ফাইবার আর মিনারেলে পরিপূর্ণ। তা ছাড়াও এতে রয়েছে লুটেন এবং জিগজানথিন যা বার্ধক্যজনিত পেশির সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে, যা থেকে বয়স্কদের অন্ধত্ব নেমে আসতে পারে।
ডাবের জল:
প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক হল ডাবের জল। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম।
তাজা ফল:
তরমুজ, ফুটি, ন্যাশপাতি, পেঁপে, তাল, আম প্রভৃতি রসাল ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল।
আরও পড়ুন: ১২ দিন নিখোঁজ ছিলেন! ব্রিজের তলা থেকে উদ্ধার জনপ্রিয় গায়িকার অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ
লেমোনেড বা লেবুর জল:
নুন চিনি দিয়ে লেবুর জল তো আমরা এই গরমে প্রায় সকলেই খাই। আর এটা খুব উপকারীও। এক গ্লাস জলে একটা লেবুর রস, একটু জিরের গুঁড়ো, বিটনুন দিয়ে মিশিয়ে খেলে অপূর্ব লাগবেও এই গরমে।
টাটকা শাক-সবজি:
টাটকা শাক-সবজিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রচন্ড গরমে ত্বক ও শরীরের কোষগুলিকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয় ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ এই সব সব্জি কোলেস্টরোল কম করে হৃদপিণ্ডের সমস্যা হ্রাস করে। শসা, টম্যাটো খুব উপকারী।
কী কী না খাওয়াই ভাল?
বাইরের খাওয়া যত কম করা যায় এ সময় ততই ভাল। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
১. প্যাকেজড ফলের রস, কোল্ড ড্রিঙ্ক, এমনকী আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল।
২. প্রচণ্ড গরমে ঝাল, মশলাদার খাবার না খাওয়াই উচিত।
৩. ঘরের হোক বা রাস্তার অতিরিক্ত ভাজাভুজি এ সময় কম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
৪. অতিরিক্ত আমিষ খাবারেও শরীরের জলের চাহিদা বাড়তে পারে।
৫. গরম চা, কফি শরীরে আরও গরম করে তুলতে পারে।
৬. প্রসেসড খাবার বা সস জাতীয় জিনিস কম খাওয়াই ভাল।