Is Early Dinner a Healthy Trend|| দেরি করে ডিনার করছেন? জানেন কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে? ঠিক ক'টায় রাতের খাবার খাবেন?
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Is Early Dinner a healthy trend: তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে নিলে সত্যিই কি শরীরের কোনও উপকার হয়? আপনি জানেন?
*আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ। ছোটবেলা থেকে এই আপ্তবাক্যটা শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি রাতের খাবারটা খাওয়াটা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে নিলে সত্যিই কি শরীরের কোনও উপকার হয়? অনেকেই ফিট থাকতে চটপট রাতের খাবার সেরে নেন। কিন্তু এটা আদতে কোনও কাজে লাগে না কি নেহাতই ভুল ধারণা? দেখে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
advertisement
*তাড়াতাড়ি ডিনার কি আদৌ স্বাস্থ্যকর: শরীরের যাবতীয় চালিকা শক্তি এই খাবার। আর তাই সুষম আহারের গুরত্ব কতখানি একথা সকলেই জানেন। শুধু ভাল, দামি এবং দেখতে সুন্দর খাবার খেলেই কাজ হবে না। কোন সময়ে খাবার খাওয়া হচ্ছে তাও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব খাবারেরই একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে আর সেই সময় মেনেই খাওয়াদাওয়ার পাট সারতে হবে।
advertisement
*বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন: সাধারণত বেশিরভাগ কাজ দিনেই সেরে ফেলা হয়। দিন যত গড়ায় চাপও তত বাড়ে। খাবারও সেরকম। ভারী জলখাবার দিয়ে শুরু হয়ে হালকা ডিনারে দিন শেষ হয়। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকালের জলখাবার হল দিনের প্রথম খাবার। এটা শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং গ্লুকোজের জোগান দেয়। পরবর্তী খাবার হল মধ্যাহ্নভোজ। এটা রাতের খাবার আগে পর্যন্ত শরীর এবং মস্তিষ্ককে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করাতে শক্তি এবং পুষ্টি যোগায়।
advertisement
*ডিনারে পৌঁছনোর আগে খাবারের ব্যবধানে নজর দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজ কিংবা মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের খাবারের মধ্যে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা জরুরি। এটা শরীরের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার মতো ব্যাপার। তবে যত কাজই থাক খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। মধ্যাহ্নভোজ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় যা রাতের খাবার পর্যন্ত শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত শক্তি নিশ্চিত করে। একইসঙ্গে সারা দিনে বিভিন্ন কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ বা ডিনার এড়িয়ে গেলে দুটো খাবারের মধ্যে সময়ের বিশাল ব্যবধান তৈরি হবে। যার ফলে স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পুষ্টির ঘাটতির সম্ভাবনাও থাকে।
advertisement
*পরিশেষে: বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার সবসময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে সেরে ফেলা উচিত। এর ফলে সামগ্রিক ক্যালোরি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যাবে। খাবার হজম হতে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগে। রাতে দেরি করে খেলে পেটের সমস্যা হয়। মেটাবলিজমও দুর্বল হয়ে পড়ে। রাতে দেরি করে খাওয়া হার্টের ওপরও প্রভাব ফেলে। সময়মতো খাওয়া হলে ঘুমও সহজে হবে।
advertisement
*মনে রাখতে হবে: অনেক সময় ভরপেট মধ্যাহ্নভোজনের ফলে রাতে খাবার ইচ্ছে চলে যায়। তাই হালকা ডিনারের পরামর্শ দেওয়া হয়। শাকসবজি, মাছ, ডিম বা বাজরা দিয়ে হালকা রাতের খাবার সবচেয়ে ভালো। তবে আরেকটা কাজ করা যেতে পারে সেটা হল, দুপুরের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ অর্ধেক করে দেওয়া। আবার ৭-৮টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলার পর যদি রাতে খিদে পায় তাহলে উপোস করারও প্রয়োজন নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় লো-ক্যালোরি খাবার খাওয়া যায়।