আরও পড়ুনঃ ৪০০-য় ৪০০! আইএসসিতে সম্ভাব্য প্রথম কলকাতার সৃজনী, দেশজুড়ে বাঙালিনীর জয়জয়কার
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর তাপের প্রভাব:
ঘুমের ব্যাঘাত:
রাতের তাপমাত্রা যদি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়, তাহলে তা আমাদের স্লিপ সাইকেলকে বিগড়ে দিতে পারে। আর ঘুমের সমস্যার জেরে মুড ডিজঅর্ডার পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
advertisement
গ্রীষ্মকালীন বিষণ্ণতা:
সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার সাধারণত শীতের মরশুমেই হয়। যদিও গরমে অল্প-স্বল্প দেখা যায়। আর গরমের সময় এই সমস্যার জেরে উত্তেজনা, অনিদ্রা এবং খিদে না পাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
ক্লান্তি:
দীর্ঘ সময় ধরে রোদে থাকার ফলে ক্লান্তি আসতে বাধ্য। এটি স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। সেই সঙ্গে দূষণের মতো পরিবেশগত সমস্যা তো রয়েছেই। ফলে সমস্যা আরও গুরুতর হতে থাকে।
উত্তেজনা বৃদ্ধি:
অতিরিক্ত তাপের কারণে হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যা আদতে উত্তেজনার উপসর্গ। যাঁদের প্যানিক অ্যাটাক এবং ক্রনিক স্ট্রেস রয়েছে, গ্রীষ্মে তাঁদের মধ্যে বারবার উত্তেজনা বা অ্যাংজাইটি দেখা দিতে থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্য সামগ্রিক সুস্থতা থেকে আলাদা নয়:
সবার আগে মনে রাখা দরকার যে, সর্বোপরি সুস্থতার থেকে মানসিক স্বাস্থ্যকে আলাদা করা যায় না। তাই সামগ্রিক জীবনযাত্রাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা, সঠিক আহার গ্রহণ, শারীরিক কসরত, মনের যত্ন নেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং অর্থবহ সামাজিক মেলামেশা ইত্যাদির উপর জোর দেওয়া আবশ্যক। এর পাশাপাশি মরশুম পরিবর্তন এবং চরম আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য শরীর এবং মনকে তৈর করতে হবে। সেই সঙ্গে ইমোশনাল স্টেবিলিটিও বজায় রাখা আবশ্যক।
আরও পড়ুনঃ ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর র্যাঞ্চো স্কুল পেল সিবিএসসিই স্বীকৃতি! কিন্তু স্কুলের আসল নাম কি জানেন?
গ্রীষ্মে মানসিক স্বাস্থ্যে জন্য হোমিওপ্যাথির ভূমিকা:
দেহ এবং মনের ভারসাম্য মজবুত করতে সাহায্য করে হোমিওপ্যাথি। আসলে এই পদ্ধতিতে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতা সাধারণ ভাবেই বজায় রাখা সম্ভব। কারণ এখানে রাসায়নিকের ব্যবহার হয় না। আর দেহ দীর্ঘ সময় ধরে চাপে থাকার ফলে এটা দেহের জন্য উপযোগীও হয়ে ওঠে।
গ্রীষ্মে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
সঠিক জীবনযাত্রা এবং হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে গরমের দিনে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা সম্ভব। এই সময় শসা, তরমুজ এবং কমলালেবুর মতো জলীয় উপাদানে সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখতে হবে। এতে এনার্জি তো বজায় থাকবেই এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নীত হবে। বাইরে যতটা সম্ভব না যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। সঙ্গে সান প্রোটেকশন ব্যবহার করতে হবে। এতে শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমে।