হালফ্যাশনের চা-পান রীতিতে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ধরনের চা৷ খাদ্য ও পানয় গবেষকদের মত, মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত এক প্রাচীন পানীয়র সঙ্গে চা মিশিয়ে এই নতুন পানীয় উদ্ভব ঘটে আরবে৷ তার পর আরব বণিকদের মাধ্যমে তা এসে পৌঁছয় দক্ষিণ মালাবারে৷ এর পর তার সঙ্গে মিশে যায় স্থানীয় কিছু পানীয় রীতিও৷
মালাবার উপকূলের কেরলে সুলেইমানি চা পানের রীতি প্রচলিত৷ বিরিয়ানির মতো ভারী খাবারের পর পরিবেশন করা হয় এ চা৷ বলা হয়, এই পানীয় গুরুপাক খাবার হজম করতে সাহায্য করে৷ অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের আসরে ভুরিভোজের অন্যতম অঙ্গ হল সুলেইমানি চা৷ কাচের বাহারি গ্লাসে কিছু জাফরান কুচি সহযোগে এই চা পরিবেশন করাই রীতি৷
advertisement
আরও পড়ুন : মধুমেহ, উচ্চরক্তচাপ বা হৃদরোগ, একাধিক সমস্যায় উপকারী রসুন-চা
বাড়িতেও খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন সুলেইমানি চা৷ কী করে করবেন? পাত্রে পরিমাণমতো জল ফুটতে দিন৷ এ বার এক এক করে মেশান দারচিনি, এলাচ ও পুদিনাপাতা৷ পাত্রের জল ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে মিশিয়ে নিন পরিমাণ মতো চা পাতা৷ তার পর বন্ধু করে দিন গ্যাসের আঁচ৷ পাত্রের মুখ ঢেকে দিন৷ এ ভাবে রাখুন পাঁচ মিনিট ৷ তার পর ছেঁকে নিন ভাল করে৷ এ বার মিশিয়ে নিন মধু ও লেবুর রস৷ গ্লাসের উপর ভাসিয়ে দিন দু’টো পুদিনাপাতা৷ বিশেষ কাউকে পরিবেশনের আগে দিতে পারেন জাফরানের স্পর্শও৷
আরও পড়ুন : কাবাবও নাকি পুষ্টিকর! যদি হয় এই উপাদানে তৈরি
শ্রান্তি দূর করার পাশাপাশি সুলেইমানি চা পরিপাকক্রিয়া উন্নত করে৷ এই পানীয়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ ছত্রাকজনিত বিভিন্ন সংক্রমণও দূর করে৷ মনে রাখবেন এই চায়ে দুধ ও চিনির ব্যবহার কিন্তু নৈব নৈব চ৷