তবে ভাবছেন একটি মিষ্টির দাম আবার ১০০ টাকা হয় নাকি! এ মিষ্টি খেলে যে কারওর পেট ভরে যাবে অনায়াসেই। দাম যেমন মিষ্টির সাইজও ঠিক ততটাই বড়। আর দৈনিক সন্ধ্যা হলেই গরম গরম মিষ্টি কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা এই মিষ্টির দোকানে।
মুর্শিদাবাদ মানেই বাংলা ইতিহাসের আঁতুড়ঘর। অলিগলি জুড়ে নবাবি আমলের হাজারো উপাখ্যানের জমায়েত। নিছক এক ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই আজ এই পরিচিতি। কিন্তু ওই হাজারদুয়ারি, ইমামবড়া, কাটরা মসজিদের শিল্প, চিত্রকলার আড়ালে মুর্শিদাবাদের যে আরও একটি পরিচয় রয়েছ তা জেনে আপনার চক্ষু ছানাবড়া হবেই। আর শুধু চোখ কেন হয়ত মুখেও ছানাবড়ার লোভনীয় স্বাদটি অনুভব করতে পারেন। মুর্শিদাবাদের যে কোনও মিষ্টির দোকানে একবার ঢুঁ মেরে দেখুন, ছানাবড়া মিষ্টিকে বেশ নবাবি মেজাজেই বসে থাকতে দেখবেন।
advertisement
মুলত মুর্শিদাবাদ জেলার বিখ্যাত ছানাবড়া মিষ্টি। যা অনেকের কাছেই ‘কালো মিষ্টি’ নামেই পরিচিতি। মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ শহরে এই মিষ্টির আবির্ভাব। আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে এই মিষ্টির আবিষ্কার হয় বলে মনে করা হয়। লালবাগের একটি আদি মিষ্টির দোকানের মালিক ছিলেন নিমাই মণ্ডল। তাঁর হাত ধরেই ছানাবড়ার পথ চলা শুরু। মূলত, ছানাকে ঘি ও ময়দা দিয়ে ভেজে তাকে গাঢ় মিষ্টি রসে ডোবালেই তৈরি হয় অপূর্ব স্বাদের ছানাবড়া।
আরও পড়ুন : মাছের ছাল খেতে ভালবাসেন? জানুন কাদের জন্য এই খাবার ‘বিষ’-এর মতোই ক্ষতিকর, মুখেও তুলবেন না
আর ছানাকে এভাবে গোল আকার দিয়ে ঘিয়ে ভাজার জন্যই এর নামও রাখা হয় ছানাবড়া। তবে বিশাল আকারের মাত্র ১০০ টাকাতে তৈরি এই ছানাবড়া বেশ নজর কাড়ছে ভোজনরসিকদের। দৈনিক গড়ে ২০পিস করে বিক্রি হচ্ছে এই সুস্বাদু মিষ্টি। তবে যিনি একবার খাচ্ছেন, একটা মিষ্টিতেই তাঁর পেট ভরে যাচ্ছে, এ কথা বলাই যায়।