ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ বাথের ডক্টর জেফ ল্যামবার্টের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমাদের হতাশা এবং উদ্বেগ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড়ো অবদান এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। সুতরাং হতাশা, বিষণ্ণতা থেকে দূরে থাকতে আমাদের অবশ্যই বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে বা অন্তত এক সপ্তাহ চেষ্টা করে দেখতে হবে এবং পরিবর্তন হচ্ছে কী না তা লক্ষ্য করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- ৪ বছর পর ফের বিরল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমণ! নেই কোনও চিকিৎসা। জানুন এর উপসর্গ
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। ফোন স্ক্রোল করা এবং ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন মানুষ কিন্তু এর নেতিবাচক পরিণতি হল এর থেকেই জন্ম নেয় হতাশা ও বিরক্তি। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১৫৪ জন, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৭২ বছর।
একটি দলকে এক সপ্তাহের জন্য ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ট্যুইটার এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল। অন্য দলকে সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা করে ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। দেখা যায়, যারা এক সপ্তাহ নানান সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলেছেন তারা আরও আশাবাদী হয়েছেন এবং স্বাস্থ্যও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন- হোটেলে খাবার অর্ডার করে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা, পরোটার মধ্যে মিলল সাপের খোলস!
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের আশাবাদ এবং সুখ সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সাধারণ উদ্বেগজনিত ব্যাধির ক্ষেত্রে যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেননি তাদের স্কোর ৪৬-৫৫.৯৩। পাশাপাশি, তাদের ডিপ্রেশনও ৭.৪৬ থেকে ৪.৮৪-এ নেমে এসেছে।
বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীরাই জানিয়েছেন পরীক্ষাটি সফল হয়েছে। হতাশা, উদ্বেগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব এই গবেষণায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সপ্তাহখানেকের বিরতি নিলেও উপকার মেলে।