আরও পড়ুনঃ নয়া পালক রুক্মিণীর মুকুটে! দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ সেরা অভিনেত্রী পর্দার ‘বিনোদিনী’
শুধু তা-ই নয়, আধুনিক জীবনযাত্রার ব্যস্ততার দরুন নিজের যত্ন রাখা সম্ভব হয় না। ব্যস্ততা, পুষ্টির অভাব এবং ত্বক পরিচর্যার জন্য অপর্যাপ্ত সময় দূষণের প্রভাবকে আরও গুরুতর করে তোলে। ফলে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। দূষণের প্রভাব বুঝতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে।
advertisement
ত্বকের সাধারণ সমস্যা এবং এর কারণ:
অ্যাকনে এবং ব্রণ:
এটা শুধু টিনএজারদেরই সমস্যা নয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ব্রণর সমস্যা হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা থেকে হতে পারে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং পরিবেশ দূষণও বড় ভূমিকা পালন করে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে মেকআপ করে থাকা এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের কারণে পোরস অবরুদ্ধ করে দেয়। এর জেরে ব্রণ হতে পারে।
হাইপারপিগমেন্টেশন এবং আনইভেন স্কিন টোন:
ডার্ক প্যাচ, মেলাসমা এবং অ্যাকনে-পরবর্তী দাগ কিন্তু দেখা দিতে পারে বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে অন্যতম হল – দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোকে থাকা, হরমোনজনিত পরিবর্তন (প্রেগনেন্সি) এবং ত্বকচর্চার ধারাবাহিকতা বজায় না রাখা।
শুষ্কতা এবং অয়েলি ভাব:
ডিহাইড্রেশন, ভারি স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট এবং মরশুম পরিবর্তন ত্বকের ময়েশ্চার কেড়ে নিতে পারে। স্কিন শুষ্ক হয়ে খোসার মতো চামড়া উঠতে শুরু করে। অতিরিক্ত অয়েল প্রোডাকশন হতে পারে হরমোনজনিত বদলের কারণে। ত্বক অয়েলি হয়ে পোরস বন্ধ হয়ে যায়।
লালচে ভাব এবং প্রদাহ:
দূষণে প্রতিক্রিয়া করতে পারে সেনসিটিভ স্কিন। আবার ভারি ভারি স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের কারণে অস্বস্তি এবং লালচে ভাব দেখা দেয়। রোজেসিয়া এবং একজিমার জেরে প্রদাহ হতে পারে।
সময়ের আগেই বার্ধক্য:
ফাইন লাইনস, রিঙ্কল বা ভাঁজ এবং স্যাগিং স্কিনের মতো সমস্যা দেখা দেয় দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোকে থাকার কারণে। এর পাশাপাশি দূষণ এবং জীবনযাত্রাজনিত সমস্যাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। হাইড্রেশনের অভাব এবং ভুলভাল ত্বকচর্চার রুটিন ত্বকের নমনীয়তা কমিয়ে দেয়।
চুলের সাধারণ সমস্যা এবং এর কারণ:
চুল ঝরা এবং পাতলা হয়ে যাওয়া:
মানসিক চাপ, হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা, পুষ্টির অভাব এবং হিট স্টাইলিংয়ের জেরে চুল ঝরে যেতে পারে এবং পাতলা হয়ে যায়। সন্তান প্রসবের পর এই সমস্যা খুবই সাধারণ।
খুশকি এবং স্কাল্পের অস্বস্তি:
ফাঙ্গাল সংক্রমণ, স্ট্রেস এবং চুলের যত্ন না নেওয়ার জেরে খুশকি হতে পারে। স্কাল্পে চুলকানি হয়।
আরও পড়ুনঃ লাগবে না নামীদামি ওষুধ! ছোট্ট আপেলেই চিরতরে বিদায় নেবে ফ্যাটি লিভার! শুধু জানুন খাওয়ার নিয়ম
চুলে জট এবং ব্রেকেজ:
কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের কারণে চুলে জট পড়তে পারে, চুল ভঙ্গুরও হয়ে যেতে পারে। ময়েশ্চারের অভাব বিষয়টিকে আরও গুরুতর করে দিতে পারে।
তৈলাক্ত স্কাল্প এবং চুল:
হরমোনজনিত ওঠা-নামা, প্রোডাক্ট বিল্ড-আপ অথবা অতিরিক্ত চুল পরিষ্কারের জন্য অতিরিক্ত তেল জমতে পারে।
রুক্ষ-শুষ্ক চুল:
দূষণ, অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা এবং রাসায়নিক চুলের জেল্লা নষ্ট করে দেয়। রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে পড়ে চুল।