তাহলে আমাদের কী করা উচিত? একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন এবং একটি ভালো আল্ট্রা-হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি, ক্লিনজিং পদ্ধতি, ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার উপায় এবং ময়েশ্চারাইজার সহ রাতের ত্বকের যত্নের রুটিনকে পুনরুজ্জীবিত করা উচিত। শীতকালে রাতের স্কিন কেয়ারে কী কী জিনিস ত্বককে সুস্থ রাখতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক।
শীতের জন্য রাতের স্কিনকেয়ার রুটিন
advertisement
১) মিল্ক ক্লিনজার বা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে
দুধ একটি আশ্চর্যজনক ক্লিনজার। এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। মেক আপ অপসারণ করতে এবং বিছানায় যাওয়ার আগে মুখ গভীরভাবে পরিষ্কার করতে দুধ-ভিত্তিক ক্লিনজার কেনা যায়। এটি শুধুমাত্র ময়লা এবং দাগ দূর করে না বরং ত্বককে নরম ও কোমল করে। এতে সামান্য ময়দা যোগ করা যায়।
২) এক দিন ছাড়া ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে
শীতকালে মৃত, চকচকে ত্বক দূর করতে এক্সফোলিয়েশনও গুরুত্বপূর্ণ। তবে, শীতকালে এবং বিকল্প দিনে মৃদু এক্সফোলিয়েশন করতে ভুললে চলবে না। নারকেল তেল বা দুধের সঙ্গে ওটস বা কফি মিশিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন - রেস্তোরাঁয় নিয়মিত খান এই ৯টি নিয়ম মেনে! ওজন ও পেট, ঠিক থাকবে দুটিই
৩) প্রতি দিন ত্বকে মাসাজ করতে হবে
প্রতি দিন ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে, বিশেষ করে ত্বক এক্সফোলিয়েট করার পরে। এটি ত্বককে গভীরভাবে কন্ডিশনড করতে সাহায্য করবে। এই কাজের জন্য, নারকেল তেল, আরগান তেল বা রোজশিপ তেল ব্যবহার করতে হবে। কিছু দিন তেল না চাইলে অ্যালোভেরা জেলও দেওয়া যায়। শেষে. তেল বা জেল দিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করতে হবে এবং হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪) একটি গভীর কন্ডিশনার ক্রিম, জেল বা ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন
শীতকালে ভালো ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ব্যবহার করা খুবই জরুরি। একটি অতি-হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার শুধুমাত্র মুখেরই নয়, বরং হাত ও পায়েও লাগাতে হবে যাতে ত্বক আর্দ্র, কন্ডিশনড, নরম, নিরাময় এবং সুস্থ থাকে।
আরও পড়ুন - হার্ট ভালো রাখতে চান? ওজন ঝরাতে ঘি খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে
৫) প্রয়োজন হাইড্রেটিং ফেস মাস্কের
একটি শীতকালীন হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক প্রয়োজনীয় জিনিস বইকি! সপ্তাহে একবার বা সপ্তাহে দু'বার এই মাস্কটি ব্যবহার করা যায়। এর জন্য দরকার চটকানো কলা, এক টেবিল চামচ মধু এবং দই এবং কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। মিশ্রণটি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে এবং স্বাভাবিক বা হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পরে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।