বাজারে অবশ্য ঠোঁটের দাগ দূর করার নানা ওষুধ স্ক্রাব পাওয়া যায়। কিন্তু নানা দামের নানাকোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেও ফল মিলছে না তেমন? ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করে পুনরায় গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনা যায় কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ পদ্ধতির সাহায্যে। ঘরেই মিলবে এমন টুকিটাকি সামগ্রী ব্যবহার করে মিলবে সহজ সমাধান।
পাতিলেবু: লেবুর রস খুব ভাল ব্লিচিং উপাদান। প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভাল করে মাসাজ করলে কালচে ভাব দূর হবে খুব সহজেই। তাছাড়া পাতলা এক টুকরো লেবুর উপরে খানিকটা চিনি ছড়িয়ে দিয়ে রোজ ঠোঁটে মালিশ করলেও ভালো ফল মেলে। চিনি এখানে স্ক্র্যাবারের কাজ করে। ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে ঘষে তুলে দেয়। আর লেবু ঠোঁটের কালো হয়ে যাওয়া চামড়াকে উজ্জ্বল করে।
advertisement
আৰও পড়ুন- চোখের মধ্যে রং ঢুকলেই বিপদ! হোলির আগেই জানুন কী ভাবে নিরাপদে রাখবেন অক্ষিযুগল
লেবু-মধু: এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেললেই হবে। লেবু ঠোঁটের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
দুধ-হলুদ: কাঁচা হলুদ গায়ের পাশাপাশি ঠোঁটের রঙও উজ্জ্বল করে তুলতে সক্ষম। কাঁচা হলুদের রস আর দুধের সর একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে হবে। যতক্ষণ না মিশ্রণটা শুকিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ থাকুক। তার পর তুলে ধুয়ে নিলেই হবে।
গোলাপজল: গোলাপ জল হাইপার পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। তুলোর বল তৈরি করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগাতে হবে। এতে ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঠোঁট বাড়তি যত্ন পাবে। ঠোঁটের দাগও দূর হবে।
অ্যালোভেরা: ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে অ্যালোভেরা জেলের জুড়ি নেই। অ্যালোভেরা জেলের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যা ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- প্রতিদিন এক গ্লাস! ক্যানসার থেকে রক্তচাপের সমস্যা, বহু রোগ দূরে রাখে সহজেই
নারকেল তেল: আঙুলের মাথায় একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিতে হবে। এতে যে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, তা ঠোঁট আর্দ্র ও সবল রাখে।
শসা: অর্ধেক শসা ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করতে হবে। তারপর তুলোর বল দিয়ে ওই জুস ঠোঁটে লাগাতে হবে। ওই ভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট থাকুক। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেললেই হবে। শসার জুস আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দিতে পারে।