তৈলাক্ত ত্বক কি না বোঝা যাবে কী করে: ক্লিনজিংয়ের এক ঘণ্টার মধ্যে ত্বক চকচকে হয়ে যাবে। বিশেষ করে টি জোন এলাকা সবচেয়ে তৈলাক্ত হয়ে উঠবে। এমনটা হলে বুঝতে হবে সেটা তৈলাক্ত ত্বক। এছাড়া পিরিয়ডের ঠিক আগে নাকে ব্ল্যাকহেডসের পরিমাণ বেড়ে যায়। ত্বকের ছিদ্রও বড় হয়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বেশি প্রয়োজন: সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। তৈলাক্ত ত্বকে আরও বেশি করে। অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনের ফলে ব্রণ এবং তৈলাক্ত ত্বক উভয়ই হতে পারে। এর মানে এই নয় যে ত্বক ভাল ভাবে ময়েশ্চারাইজড। প্রচুর তেল উৎপাদন করে বলেই ত্বকে জলের পরিমাণ কম থাকে। অন্য দিকে, ত্বক থেকে তেলের পরিমাণ কমানোর আর্দ্রতার মাত্রাও হ্রাস পায়, যেটা ত্বকের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
advertisement
আরও পড়ুন- জিমে গিয়েও পেটের বাড়তি মেদ ঝরছে না? একবার এই ব্যায়ামগুলো করে দেখুন তো
ময়েশ্চারাইজারগুলো ত্বকের বাইরের স্তরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা উপাদানগুলো ত্বকে জল আকর্ষণ করে এবং বেরিয়ে যেতে বাধা দেয়। ফলে জল থাকে। তৈলাক্ত ত্বক নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে।
তৈলাক্ত ত্বকে কোন উপাদান এড়িয়ে চলা উচিত: ত্বক তৈলাক্ত হলে সোডিয়াম লরেথ সালফেট এবং সোডিয়াম লরিল সালফেটের মতো ক্ষারীয় পণ্য ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। এটা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। অ্যাসিড স্তর যা সাধারণত ত্বককে ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে, এই উপাদান ব্যবহারের ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দূষণ থেকে ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ক্রিম এবং লোশন ব্যবহারও বন্ধ করতে হবে। কারণ এগুলো ঘন। এগুলো ত্বক শোষণ করতে পারে না। ত্বকের উপরিভাগেই আটকে থাকে। ফলে তেলতেলে ভাব আরও বাড়বে।
তৈলাক্ত ত্বকে নন-কমেডোজেনিস ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটা ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে, ত্বকের ছিদ্রও পরিষ্কার রাখবে। এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে যা হালকা, তেল-মুক্ত এবং ত্বকে দ্রুত মিলিয়ে যায়। প্রচুর তেল থাকে এমন ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ময়েশ্চারাইজার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভাল।