সাধারণত দক্ষিণী মহিলারা জন্মগত ভাবেই অপরূপ সুন্দরী হন। তা সত্ত্বেওও ব্যস্ত জীবনযাপনের মাঝে তাঁরা নিয়মিত রূপচর্চা করতে ভোলেন না। আধুনিক বাজারজাত পণ্য বা নানান দামি বিউটি প্রোডাক্টসের পরিবর্তে দক্ষিণ ভারতীয় মহিলারা আপন করে নিয়েছেন শতাব্দী প্রাচীন আমাদের রূপচর্চার ঐতিহ্যটিকে।
নারকেল তেলের ব্যবহার
দক্ষিণ ভারতের জল বাতাসে সহজলভ্য নারকেল তেল সেখানকার মহিলাদের রূপচর্চার অন্যতম সঙ্গী। মেক আপ রিমুভার থেকে শুরু করে চুলের মাসাজে মহিলারা নারকেল তেলের ব্যবহার করেন। প্রাকৃতিক ভেষজ গুণে ভরপুর, ভিটামিন E যুক্ত নারকেল তেল চুলের গোড়াকে শক্ত করে, অকালে চুল পেকে পাওয়া থেকে রোধ করে ও চুলে পুষ্টি জোগায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ওজন বাড়ার ভয়ে ভাত খান না? পেট ভরাতে পাতে থাক এই বিকল্প খাবারগুলি
তিল তেলের ব্যবহার
অধিকাংশ দক্ষিণ ভারতীয় মহিলারা পায়ে তিল তেলের ব্যবহার করেন, এতে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়।
গোলাপ জলের ব্যবহার
গোলাপ জলের গুণ কিন্তু অপরিসীম। সাধারণত টোনার হিসেবে নিয়মিত গোলাপ জলের ব্যবহার আমাদের ত্বকে দারুণ উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।
মিল্ক ক্লিনজার
হোল মিল্ক বা ফ্যাট যুক্ত পিওর মিল্ক ক্লিনজার হিসেবে আমাদের ত্বকে দারুণ কাজ করে। সামান্য পরিমাণ হোল মিল্ক তুলোয় নিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন- মাত্র একবাটি স্যুপ! শীতে সুন্দর ত্বক-চুল পেতে এই যথেষ্ট, কী ভাবে বানাবেন জানুন
দই এবং ফেস মাস্ক
দই কিন্তু ন্যাচারাল হাইড্রেটার হিসেবে কাজ করে। দক্ষিণ ভারতীয় মহিলারা দই এবং পেঁপের মিশ্রণে এক ধরনেণের ফেস মাস্ক তৈরি করে, ত্বককে হাইড্রেট করতে এবং ত্বকে জেল্লা আনতে এই মাস্ক দ্রুত কাজ করে।
কমলালেবুর স্ক্রাব
কমলালেবুর খোসাকে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা দক্ষিণ ভারতের পুরনো রীতি। রোদে শুকনো খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে। উপরন্তু বাজারচলতি ক্ষতিকারক স্ক্রাবের পরিবর্তে এটি ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে।