এইচসিজি ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার এবং হাসপাতালের ডিন ডা. ইউএস বিশাল রাও জানিয়েছেন, “আমাদের দেশে ইউভি ইনডেক্স নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয় না। কেন না ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে স্কিন ক্যানসারের সম্ভাবনা সাধারণত এতদিন বিরল ছিল। কিন্তু এখন হাই ইউভি এক্সপোজারের কারণে এই ধরনের কেস দ্রুত বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে’।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ক্রমাগত ইউভি এক্সপোজারের বৃদ্ধি আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করবে। বর্তমানে পরিবেশের উষ্ণায়নের সঙ্গে, গাছপালার হ্রাস, নদী ও জলাশয়ের পরিমাণ হ্রাস, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ইউভি ইনডেক্সের অধ্যয়নের প্রয়োজনীতা দেখা দিচ্ছে। এই তালিকায় ক্রমশ ভারতও জায়গা করে নেবে। এতে ত্বকের ক্যানসার, রোদে পোড়া ও চোখে ছানি পড়ার মতো নানামারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : হাঁপানিতে খুব কষ্ট পান? এই খাবারগুলো খেলে নিজেই নিজের সর্বনাশ করবেন
শঙ্কর হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের প্রধান ডা. নারায়ণ সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়াতে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে ভারতীয়দের ত্বকে উপস্থিত উচ্চ মাত্রার মেলানিন সূর্যের এই অতিবেগুনি রশ্মিকে পরাস্ত করতে সক্ষম। কিন্তু ধীরে ধীরে তাপমাত্রার অধিক বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকি বাড়ছে।
আরও পড়ুন : শরীরচর্চার সময় নেই ? ঘর গৃহস্থালির কাজেই কমবে আপনার ওজন, ঝরবে মেদ
আরও পড়ুন : যৌনতাই প্রেম? শুধুমাত্র রতিসুখের তৃপ্তিতেই কি সম্পর্ক টিকে থাকে? জানুন দীর্ঘ সুসম্পর্কের রহস্য
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, ২০০২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ইউভি ইনডেক্সটি তৈরি করে। এর দ্বারা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির পরিমাপ বোঝা যায়। ইউভি ইনডেক্স অনুযায়ী ১ বা ২ স্কোর নিম্নহার, ৩ থেকে ৫ মাঝারি, ৬ বা ৭ বেশি, ৮ থেকে ১০ উচ্চ হার, ১১ এবং তার উপরের স্কোর চরমসীমা বোঝায়।
সর্বশেষ আইসিএমআর ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুসারে, ননমেলানোমা স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে। এখন ধীরে ধীরে তা সারা ভারতেই ছড়িয়ে পড়ছে।