ওজনের ওঠানামা
পুষ্টির ঘাটতির অন্যতম নির্ধারক হচ্ছে ওজনের ওঠানামা। হঠাৎই শিশুর ওজন বেড়ে যাবে, নয় তো কমে যাবে। এমনটা হলেই সাবধান হতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যালান্স ডায়াটের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
আরও পড়ুন: সন্তানের ডায়েটে নিয়মিত রাখুন এই খাবারগুলি, শৈশব হোক চশমামুক্ত
ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া
অপুষ্টির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে বাচ্চাদের মধ্যে ঘন ঘন সর্দি-কাশি, জ্বর বা বিভিন্ন অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। তাই বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে, খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।
advertisement
খিটখিটে মেজাজ, উদ্বেগ, অবসাদ
কোনও কাজই করতে ভালো লাগে না। পড়াশোনা, খেলাধুলো, খাওয়াদাওয়া- সবেতেই যদি অনীহা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে। এর ফলে শিশুদের মনে উদ্বেগ ও অবসাদ বাসা বাঁধে। এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা প্রোটিনযুক্ত ডায়েটের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন : ছিপছিপে এবং রোগমুক্ত শরীর চান? নিয়মিত ছাতু খান
এনার্জির ঘাটতি
যদি সন্তান অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে কিংবা অলস হয়, বুঝতে হবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি তার শরীরে যাচ্ছে না। মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া, বিভ্রান্তির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়রনের ঘাটতির ফলে সাধারণত এমনটা হয়। শিশুর খাদ্যতালিকায় বাদাম, খেজুর, বীজ জাতীয় খাবার, ড্রাই ফ্রুটস এবং মাংস দিলে এই সমস্যা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়।
নতুন কিছু শিখতে অসুবিধা
সে খেলা হোক কিংবা পড়াশোনা, পুষ্টির ঘাটতি থাকলে নতুন কিছু শিখতে সময় নেয় শিশুরা। এটা ভিটামিন B12-এর অভাবে হতে পারে। অর্গ্যান মিট, মুরগির মাংস, মাছ, শেলফিশ, ডিম, দুধ খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : রান্নার পর একটু আধটু সব্জি বেঁচে গিয়েছে? ফেলে না দিয়ে তৈরি করুন শীতের আদর্শ উপকারী পানীয়
মনোযোগের অভাব
কোনও কিছুতেই মন বসে না। একটা কাজ করতে করতে অন্য কাজ শুরু করে। এমনটা হলে বুঝতে হবে পুষ্টির সমস্যা আছে। তার ফলে কোনও একটা বিষয়ে ফোকাস করতে পারছে না। এক্ষেত্রে সন্তানের পাতে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। প্রতিদিন কতটা জল খাচ্ছে সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের।