ঠান্ডা-গরম জল মিশিয়ে স্নান: শুধু গ্রীষ্মে নয়, সারা বছরই ঠান্ডা-গরম জল মিশিয়ে স্নান করা উচিত। শীতকালের মতো সম্পূর্ণ গরম জলে স্নান করলে শরীরের আর্দ্রতার ভারসাম্য ব্যহত হতে পারে। তাছাড়া ত্বকের ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ঠান্ডা জল ত্বকের চুলকানি কমায়, সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
শোওয়ার আগে স্নান: গরমকালে অস্বস্তিকর ক্লান্তি ঘিরে থাকে। সারাদিন শরীর থেকে ঘাম বের হয়। সঙ্গে ধুলো-বালি মিশে একেবারে দফারফা অবস্থা। অতিরিক্ত ঘামের ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা বা ঠান্ডা-গরম জলে স্নান করা উচিত। এতে ঘুমও আসবে তাড়াতাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন - ঘামে ভিজে শরীর খারাপ হতে পারে, গরমে শিশুকে কেমন পোশাক পরাবেন? রইল টিপস
জলে সুগন্ধি: মন ভালো রাখতে সুগন্ধির জুড়ি নেই। স্ট্রেস বা টেনশন কমাতেও সুগন্ধির ব্যবহার করা হয়। তাই গরমে স্নানের জলে রোজমেরি বা গোলাপ জলের মতো কয়েক ফোঁটা সুগন্ধি ঢেলে দিলে মন চাঙ্গা থাকবে। শরীরও ফুরফুরে লাগবে। দীর্ঘ, ক্লান্তিকর দিনের শেষে সুগন্ধি সহযোগে স্নান অ্যারোমাথেরাপির মতো কাজ করে।
দিনে একবার স্নান: গরমে বারবার শাওয়ারের নিচে দাঁড়াতে মন চায়। কিন্তু এমনটা ত্বক এবং চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই দিনে একবার স্নান করাই ভালো। এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ত্বকও ডিহাইড্রেট হওয়ার হাত থেকে বাঁচবে।
জলের মান উন্নত করতে হবে: গ্রীষ্মে ভূপৃষ্ঠের জলে বাষ্পীভবন হয়। ফলে জলে খনিজের মাত্রা বাড়ে। এই ধরনের জলকে বিশেষজ্ঞরা বলেন হার্ড ওয়াটার। এই হার্ড ওয়াটার চুলের ক্ষতি করে। চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই এই সময়টা ট্যাপ ফিল্টার বা ওয়াটার সফটনার ব্যবহার করা উচিত।
ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে: শুধু শীতেই ত্বক ফাটে এমনটা নয়। গরমকালেও শুকিয়ে যেতে পারে ত্বক। শীতের সময়ে নানাভাবে রুক্ষ ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু গরমে রুক্ষ ত্বকের যত্ন অনেকেই নেন না। যদিও এটিও খুব দরকারি। তাই স্নানের সময় এক্সফোলিয়েশন করা জরুরি। তবে সপ্তাহে ১-২ বার করলেই হবে। বেশি করলে ত্বকে জ্বলুনি হতে পারে।