কিন্তু নতুন জুতো পরে হেঁটে এ-দিক ও-দিক ঘুরলে পায়ের (Foot) বারোটা বেজে যাবে৷ ফোস্কা পড়ে পায়ে ব্যথা হলে তো আর বেশি ঘোরাঘুরি করা যায় না৷ শুধু কি তা-ই? পুজোয় যত্ন করে পেডিকিওর করা পায়ে ফোস্কার দাগ পড়লে মনটাও খারাপ হয়৷ তাই নিজের পা ভাল রাখতে (Foot Care) পুজোর আগে থেকেই কয়েকটা বিষয় মেনে চলতে হবে৷ তা হলে আর পায়ে ফোস্কাও পড়বে না, ব্যথাও হবে না৷ নতুন জুতো পরে বিন্দাস ঘুরতে বেরোনো যাবে৷
advertisement
আরও পড়ুন : দেখতে বিসদৃশ লাগে বলে পুজোতেও এড়িয়ে যান শাড়ি? আপনার জন্য রইল টিপস
প্রস্তুতি:
প্রতিদিন যাঁদের অন্তত আধঘণ্টা করে হাঁটার অভ্যাস আছে, তাঁদের সে রকম ঝামেলা পোহাতে হবে না৷ আর যাঁদের একেবারেই হাঁটাচলার অভ্যাস নেই, তাঁদের প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট করে হেঁটে অভ্যাস করতে হবে৷ তার পর ধীরে ধীরে সেই হাঁটার অভ্যাসটা ১ ঘণ্টা করতে হবে৷ তবে অতিরিক্ত হাঁটলে আবার পা ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে৷ যেটা দুর্গাপুজোয় কাম্য নয়৷ কারণ পুজোটা তো বছরে এক বারই আসবে!
নতুন জুতোর ক্ষেত্রে:
পুজোয় এক-এক ধরনের জামার সঙ্গে এক-এক ধরনের জুতো পরতে হবে (Puja Fashion 2021)৷ রোজকার একঘেয়ে জুতো ছেড়ে এই ক’টা দিন স্টাইলে থাকার দিন৷ ফলে একেবারে বাক্সবন্দি হয়ে থাকা নতুন জুতো পুজোতেই বার করতে হয়৷ কিন্তু এ বার তা না-করে আগেভাগেই বাক্স থেকে বার করে ঘরে পরে সড়গড় হয়ে নিতে পারেন৷ নতুন জুতো পরে হেঁটে দেখলে সহজেই বোঝা যাবে যে, কোথায় কোথায় অস্বস্তি হচ্ছে অথবা ফোস্কা পড়ছে৷ ফলে সেখানে মলম অথবা পিচ্ছিল কোনও ক্রিম জাতীয় জিনিস লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে৷ বেশ কয়েক বার পরে সড়গড় করে নিলে আর নতুন জুতোয় অসুবিধা থাকবে না৷ যদি খুবই অসুবিধা হয়, সে ক্ষেত্রে সুতির আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করা যেতে পারে৷
আরও পড়ুন : পুজোয় খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের পরও কী করে সুস্থ রাখবেন নিজেকে? রইল টিপস
জুতোর মাপ:
জুতো কেনার আগে ভাল ভাবে জুতোর মাপ দেখে নেওয়া উচিত৷ ছোট হলে পায়ে ব্যথা হবে আর বড় হলেও হাঁটতে অসুবিধা হবে৷ ফলে সঠিক মাপের জুতো কেনা খুবই জরুরি৷ তাতে জুতো পরেও আরাম পাওয়া যায়৷ আর জুতোর মাপের সঙ্গে জুতোর সোলের বিষয়টাও নজর রাখতে হবে৷ জুতো কেনার সময় সোল নরম কি না, সেটা দেখে তবেই কেনা উচিত৷
কোমল পায়ের যত্ন:
- যখন জুতো পরবেন, তখন লক্ষ রাখবেন, জুতো অথবা মোজা যেন শুকনো থাকে।
- প্যান্ডেল হপিংয়ের পরে বাইরে থেকে এসে পা উষ্ণ গরম জল দিয়ে ভাল করে ধুতে হবে। তার পরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
- প্রচণ্ড হাঁটাহাঁটি হলে পায়ের পেশির বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তাই বসলে পায়ের নীচে কিছু একটা দিয়ে বসতে হবে আর ঘুমোনোর সময় হাঁটুর নীচে বালিশ দিয়ে রাখতে হবে।
- কিছু হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে হবে। পায়ের আঙুল ধরে অল্প অল্প করে স্ট্রেচ করতে হবে।
- একটা নরম তোয়ালে রোল করে পায়ের নীচে দিয়ে চেয়ারে পিঠ সোজা রেখে বসতে হবে। তার পর পায়ের নীচে ওই তোয়ালের রোলটা হালকা চাপ দিয়ে ঘষতে হবে।
পুজোর আনন্দের মধ্যেই অল্প সময় বার করে এ ভাবে পায়ের যত্ন নিলে পা ভাল থাকবে। সেই সঙ্গে আবার কর্মব্যস্ততা আর অফিসে দৌড়াদৌড়ির জন্য প্রস্তুতও থাকা যাবে!