এই তরুণ পাঠক জানিয়েছেন যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন Gay অর্থাৎ সমকামী পুরুষ। তাঁর জিজ্ঞাস্য- এ হেন বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা কি তাঁর সেক্সুয়ালিটি বদলে দিতে পারে?
এক্ষেত্রে সবার প্রথমে পল্লবী একটা ব্যাকরণগত দিক তুলে ধরেছেন। এই পাঠক তাঁর লেখায় সেক্সুয়ালিটি শব্দটা ব্যবহার করলেও পল্লবী বলছেন যে আসলে তাঁর দুশ্চিন্তা সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে। এই প্রসঙ্গে দু'টোর মধ্যে তফাতটা কোথায়, তা সহজ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
advertisement
পল্লবী বলছেন যে একজন মানুষের জন্মগত ভাবে লিঙ্গ কী, সে কী ভাবে আচরণ করে- এই সব কিছু পড়ছে তার সেক্সুয়ালিটির মধ্যে। অন্য দিকে, সে শারীরিক ভাবে সমলিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক চাইছে না বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে, এই ব্যাপারটি হল তার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন। অর্থাৎ সেক্সুয়ালিটির দিক থেকে এই পাঠকের বন্ধুরা পুরুষ এবং সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের দিক থেকে তাঁরা সমকামী। তাঁদের সাহচর্য যৌন সম্পর্ককে প্রভাবিত কি করতে পারে?
পল্লবীর স্পষ্ট উত্তর- কখনই করতে পারে না! এই প্রসঙ্গে তিনি ভেবে দেখতে বলছেন আমাদের সমাজের কথা। এখানে যে ছবি তৈরি হয়, যে বই লেখা হয়, তার সবেতেই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের ভালোবাসার জয়জয়কার। যদি এরকম ভাবে সাহচর্য দ্বারা সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন প্রভাবিত হওয়ার ব্যাপার থাকত, তাহলে কি সমকামীদের অস্তিত্ব থাকত? পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞা।
তাই তাঁর একটাই বক্তব্য- কেউ যদি নিজে থেকে রাজি না হয়, যদি ভিতর থেকে তাগিদ অনুভব না করে, তাহলে কারও সাহচর্যে সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন বদলে যাওয়া সম্ভব নয়। সমকামীরা যেমন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েও সমলিঙ্গের যৌনসঙ্গী বেছে নেন, সেটা বিপরীত ক্রমেও সত্য!
Pallavi Barnwal