মায়েদের প্লাস্টিক প্যাকেটজাত খাবার, পানীয় এবং সামুদ্রিক প্রাণীর মাংস খাওয়ার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্লাস্টিকজাত পণ্যের দৈনন্দিন ব্যবহার ক্ষেত্রেও নজর রাখা হয়েছিল। তবে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক ছিল না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিবেশে উপস্থিতি কারণে মানুষের শরীরে সহজেই প্রবেশ করে ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিকের।
আরও পড়ুন: উপায় আপনার হাতের মুঠোয়, রোজ সকালে এই ৬ কাজ করুন, ওজন কমবে ঝড়ের গতিতে
advertisement
ইতালির পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভ্যালেন্টিনা নোটারস্টেফানো বলেছেন, ''মাতৃদুগ্ধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় সদ্যোজাতের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে। অনঃসত্ত্বা থাকাকালীন এবং দুগ্ধবতী হওয়ার পর শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশের পথ বন্ধ করা প্রয়োজন।''
কিন্তু একইসঙ্গে অধ্যাপক জানালেন, এই সমস্যা থাকার সত্ত্বেও স্তন্যপান না করানো উচিত নয়। অধ্যাপক বললেন, ''আমাদের এই গবেষণার উদ্দেশ্য স্তন্যপান বন্ধ করা কমানো নয়। বরং দূষণ কমানো এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের চাপ দেওয়া উচিত।''
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেশার কমাতে আপনার রান্নাঘরের এই মশলাগুলি অব্যর্থ, জানুন কখন কীভাবে খাবেন
এর আগে গবেষণায় দেখানো হয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের কোষ, পরীক্ষাগারের প্রাণী এবং সামুদ্রিক জীবের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিন্তু মানুষের উপর তাদের প্রভাব কতটা, তা অজানা ছিল। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরি হয় পলিথিন, পিভিসি এবং পলিপ্রোপিলিন দিয়ে। যা প্রায়শই প্যাকেজিংয়ে পাওয়া যায়।