জালালউদ্দিন কলকাতার একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। অভাবের তাড়নায় ইচ্ছা সত্ত্বেও ছোটবেলায় নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করতে হয়। সে সময় তিনি কলকাতার এন্টালি, মৌলালি অঞ্চলের ফুটপাতে ভিক্ষা করতেন। সে ভিক্ষা থেকে উপার্জিত অর্থেই চলত তাঁর জীবন। পরবর্তীকালে তিনি রিকশা চালান এবং বর্তমানে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। কিন্তু তাঁর মতো অভাবের তাড়নায় যাতে অন্য কোনও শিশুকে পড়াশোনার পথ থেকে বিচ্যুত হতে না হয় সেই কারণে তার ট্যাক্সিতে আসা আরোহীদের কাছ থেকে ভিক্ষা চেয়ে নিজের গ্রামে নির্মাণ করেছেন দুটি স্কুল এবং একটি অনাথআশ্রম।
advertisement
আরও পড়ুন : গুড়ের পাকে বাদাম চাক কি ব্লাড সুগারে খাওয়া যায়? নাকি চরম ক্ষতিকর? জানুন ভালমন্দ
প্রথমে সে সময়ে যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন সেই বাড়ির এক কামরায় তৈরি হয় প্রথম স্কুল। এরপর এক কামরার স্কুল থেকে প্রথমে হয় একটি বড় স্কুল, তার পর আরও একটি স্কুল এবং একটি অনাথ আশ্রম করেছেন তিনি। অবশেষে তার এই সুচেষ্টা সফলতা লাভ করেছে এবং বর্তমানে সমান ভাবে ছেলেমেয়ে উভয়ই এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে।
পরবর্তীকালে তাঁর এই মানবিক কাজের জন্য ডাক পেয়েছেন কেবিসিতেও । অর্থ সাহায্য করেছেন অমিতাভ বচ্চন, আমির খান। কেবিসি থেকে পাওয়া ২৫ লক্ষ, অমিতাভ বচ্চনের দেওয়া ২১ লক্ষ এবং আমির খানের দেওয়া ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে নরেন্দ্রপুরে জমি কিনে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল খোলার কাজ বর্তমানে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।