ভারতে চুল রঙ করার পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। স্বাভাবিকভাবে বাজারও বিশাল। ২০২০ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, এ দেশে চুলের রঙের পণ্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৭৭ মিলিয়ন ডলার। ২০২৬ সালের মধ্যে এই বাজার আরও ১৭ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ দেশের মানুষ বিভিন্ন রকমের পণ্য নিয়ে একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে আগ্রহী। তাঁদের চাহিদা মেটাতে কোম্পানিগুলোও বিভিন্ন পণ্য বাজারে নিয়ে আসে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ত্বকের সমস্যায় জর্জরিত? ম্যাজিকের মতো কাজ করে 'এই' ৬ সুপারফুড, রইল তালিকা
বাজার যেহেতু বাড়ছে তাই গ্রাহকদের সচেতনতাও জরুরি। চুলে রঙ করার আগে কী করা উচিত আর কী নয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। প্রথম এবং সর্বাগ্রে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, চুলের রঙে রাসায়নিকের ব্যবহার হয়। গত কয়েক বছরে এর পরিমাণ কমেছে বটে কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী রঙ, স্থায়ী রঙ, আধা-স্থায়ী রঙ, প্রি-লাইটেনার এবং অ্যামোনিয়া-মুক্ত স্থায়ী রঙ পাওয়া যায়। এই পণ্যগুলির প্রতিটির রঙের সময়কাল এবং এটি চুলকে কীভাবে প্রভাবিত করবে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রঙের আলাদা আলাদা যত্ন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। সব ধরনের রঙের ক্ষেত্রে, একটি ভাল শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার মাস্ক এবং লিভ-ইন কন্ডিশনার থাকা আবশ্যক। চুলের রঙের পর যাতে সেটা স্থায়ী হয় সেদিকটাও মাথায় রাখতে হয়।
আগের বলা হয়েছে চুলের রঙে রাসায়নিক থাকে। তাই কিছুটা ক্ষতি হয়। বিশেষত চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। কোঁকড়া চুল আলগা হয়ে যেতে পারে। তাই এই সময় প্যারাবেন মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতি ৬ মাসে একবার অ্যামোনিয়া মুক্ত শ্যাম্পুও লাগানো উচিত। আর যে শ্যাম্পুই ব্যবহার করা হোক না কেন, তারপর লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে!