আরও পড়ুন- বিচিত্র: দুই স্বামীকে ছেড়ে বউ পালাল তৃতীয় পুরুষের সঙ্গে! স্ত্রীকে ফেরাতে থানায় দুই স্বামী!
টক্সোপ্লাজমা গন্ডি নামের একটি পরজীবী, প্রাণীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই পরজীবীই ‘রেটিনাল স্কার’ এর জন্য দায়ী, জানিয়েছে ওই গবেষণাটি। “বিশ্বজুড়ে অনেক প্রাণী পরজীবীর দ্বারা সংক্রামিত হয়, সাধারণত সংক্রামিত বিড়াল দ্বারা বা অন্যান্য সংক্রামিত প্রাণী খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ সংক্রামিত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে গৃহপালিত বিড়ালের মল এই রোগের বাহক হতে পারে তবে সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ পথ হল মাংস খাওয়া। সংক্রামিত গবাদি পশুর রান্না করা বা কাঁচা মাংস থেকেই এই পরজীবী ছড়িয়ে পড়ে,” বলছে ওই গবেষণা।
advertisement
আরও পড়ুন- একদিনে দেশে ৮,৫৮২ জন করোনা আক্রান্ত! সক্রিয় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে ৪৪,৫১৩!
এই গবেষণার জন্য ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির চোখের ও দৃষ্টির স্বাস্থ্য বিষয়ক অধ্যাপক জাস্টিন স্মিথ এবং তাঁর দল অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ৫০০০ জনেরও বেশি মানুষের রেটিনার ফটোগ্রাফ বিশ্লেষণ করেছেন। প্রফেসর স্মিথ সহ তিনজন বিশেষ চক্ষু বিশেষজ্ঞ এই স্ক্যানগুলির মূল্যায়ন করেছেন এবং অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে পরজীবী সংক্রমণের ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন।
“৫০০০ জনের মধ্যে, রক্ত পরীক্ষায় আমরা আটজন অংশগ্রহণকারীর টক্সোপ্লাজমিক রেটিনাল স্কার খুঁজে পেয়েছি। এর সঙ্গে রেটিনার ক্ষতর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এই নির্দিষ্ট ফটোগ্রাফগুলিতে দেখা যাচ্ছে না এমন অবস্থানে থাকবে। আমরা এর বিস্তার অনুমান করতে সক্ষম হয়েছি। অকুলার টক্সোপ্লাজমোসিস প্রতি ১৪৯ জনে ১ জনেরই হবে,” গবেষকরা বলছেন।
অধ্যাপক স্মিথ এবং তাঁর দল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, এই রোগের সম্ভাবনা কমাতে কম রান্না করা বা কাঁচা মাংস এড়িয়ে চলাই ভাল। এছাড়া রান্নার আগে মাংস বরফে রাখলেও পরজীবী মারা যায়।