গ্যারি নিউম্যান তাঁর বই দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট চিটিং-এ লিখেছেন, এই সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসা পুরুষ মক্কেলদের ৪৭ শতাংশই বলেছেন ভালবাসায় ফাঁক থাকার কারণেই তারা সঙ্গীকে ঠকিয়েছেন ৷ এই ফলাফল যেমন একদিক দিয়ে যেমন সম্পর্কে পারস্পরিক ভালবাসা, নির্ভরতার গুরুত্ব তুলে ধরেছে, তেমনই অন্যদিকে সঙ্গীর থেকে উচ্চ প্রত্যাশা রাখার বিষয়টিকেও প্রকট করেছে বলে মনে করেছেন নিউম্যান ৷ আবার ৭০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৯ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, শারীরিক সম্পর্কে ভাঁটা পড়ার কারণেই তারা সঙ্গীকে 'চিট' করেছেন ৷
advertisement
আরও পড়ুন: মৃত্যুভয়ের গন্ধ কেমন? জেনে নিন
তবে কি সম্পর্কে কোনও রকম খামতিই সবসময় ঠকানোর কারণ? মনোবিদরা জানাচ্ছেন, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে জীবনে আসে কোয়ার্টার লাইফ ক্রাইসিস ৷ এইসময় অনেকেই সম্পর্কে কোনও খামতি না থাকলেও অন্য পুরুষ বা মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন ৷ এছাড়াও যখন আমরা বয়সের কোনও দশক পূর্ণ করার পথে থাকি যেমন ২৯, ৩৯ বা ৪৯ বছর বয়সে এক ধরনের চাহিদা তৈরি হয়, যা থেকে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা তৈরি হয় ৷
কীভাবে চিট করার সুযোগ খুঁজে নিই আমরা? সমীক্ষা জানাচ্ছে, এক তৃতীয়াংশ পুরুষই কর্মক্ষেত্রের বাণিজ্যিক সফরে এই সুযোগ নিয়ে থাকেন ৷ অন্যদিকে, ১৩ শতংশ মহিলা কর্মক্ষেত্রেই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷
গবেষক ক্লেটন রাসেল বি আবার জানাচ্ছেন, চিট করার রাস্তা খুঁজতে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়াকেও হাতিয়ার করেন ৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে বন্ধুদের প্রভাবেও চিট করার প্রবণতা তৈরি হতে দেখা গিয়েছে ৷ অর্থাত্, ঘনিষ্ঠ কোনও বন্ধু বা বন্ধুদের যদি বহুগামিতার অভ্যাস থাকে তাহলে অনেক পুরুষই সেই প্রভাবে বহুগামিতার স্বাদ নিতে চান ৷ কারণ, কিছু মানুষ রয়েছেন যারা কখনই একগামী সম্পর্কে সন্তুষ্ট থাকেন না ৷ তারা চিট করেন নিতান্তই অভ্যাসের বশে ৷ যা সম্পর্কের কোনও খামতির তোয়াক্কা করে না ৷