বাড়ির পোষা হাঁসের ডিম দিয়েই রান্না করলেন ঠাকুমার পুত্রবধূ কবিতা৷ প্রথমে হাঁসের ডিমগুলি সিদ্ধ করতে দিন৷ তত ক্ষণে আপনি তৈরি করুন মশলা৷ একসঙ্গে বেটে নিন জিরে, আদা, রসুন এবং শুকনো লঙ্কা৷ ছ’টা ডিম নিলে কুচিয়ে রাখুন অন্তত চারটি বড় মাপের পেঁয়াজ৷
আরও পড়ুন : সামান্য যত্নেই অন্দরসজ্জা পাল্টে দেয়, খুঁটিনাটি জেনে নিন এই চাঁদোয়া-গাছ নিয়ে
advertisement
ওই পেঁয়াজে দিন পরিমাণমতো নুন, সর্ষের তেল এবং হলুদ৷ এ বার বাটা মশলার সঙ্গে ওই পেঁয়াজ ভাল করে মিশিয়ে নিন৷ ডিম সিদ্ধ হয়ে গেলে দুই অংশে কেটে নিন৷ প্রথমেই ডিমের সঙ্গে মশলা মাখাতে যাবেন না ৷ তাহলে কুসুমের অংশ বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে৷
আরও পড়ুন : চুল ভাল রাখতে চান? প্লাস্টিকের নয়, ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি
কলাপাতায় ভাল করে তেল মাখিয়ে নিন৷ এ বার মশলায় এক বার করে ডিমের গায়ে মাখিয়ে নিয়ে ডিমের অর্ধাংশগুলি রাখুন কলাপাতার উপর৷ কুসুম নীচের দিকে থাকবে৷ ডিমের সাদা অংশ থাকবে উপর দিকে৷ কিছুটা মশলামাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিন ডিমের পাশে পাশে৷
উল্টোনো ডিমের মাঝে গোল অংশ ফাঁকা রাখুন৷ সেখানে দিন দুধমান কচুর পাতা কুচিয়ে৷ তার আগে নুন ও মশলামাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভাল করে মাখতে হবে কচুপাতাকুচি৷
আরও পড়ুন : আপনার দু’টি চোখ বাঙ্ময় করে তুলতে পরুন বাড়িতে পাতা কাজল, তৈরি করা খুবই সহজ
মাটির উনুনে মাটির পাত্রে বেশ কিছু কলাপাতার পরত রেখে তার উপর ডিমের পাতুরি করলেন কবিতা৷ মাঝে এক বার ডিমগুলি উল্টিয়েও দিলেন৷ যাতে দু’দিকই ভালভাবে রান্না হয়৷ আপনি তো মাটির উনুন বা মাটির বাসন পাবেন না৷ তাই রান্না করুন গ্যাসেই ৷ তবে মাছে পাতুরি যেমন একটা পাতায় বা পাতার একটি অংশে একটাই মাছ মুড়ে দেওয়া হয়, ডিমের ক্ষেত্রে সেটা করবেন না৷ একটা বড় পাতায় ডিমের অর্ধাংশগুলি বসিয়ে দিন৷ নয়তো একটি পাতার আবরণে পাতুরি করুন চার টুকরো ডিম৷
ডিম তো অনেকভাবেই রান্না করেন৷ এ বার সকলকে খাওয়ান ডিমের পাতুরি বানিয়ে৷