এই দেবীমূর্তির পুজো নবদ্বীপে কেবল দুটি স্থানে হয় যোগনাথতলার গৌরাঙ্গিণী মাতা ও বুড়োশিবতলার গৌরাঙ্গী মাতা রূপে। শাক্ত মতে পালিত হয় এই পুজো। আগে পশুবলি দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে; এখন প্রতীকী বলি হিসেবে আখ, কলা, কুমড়ো ইত্যাদি নিবেদন করা হয় দেবীর উদ্দেশে।
আরও পড়ুন : নবদ্বীপের রাস উৎসবে আজও অটুট শতবর্ষ প্রাচীন কুমারী পুজোর পরম্পরা
advertisement
পুজোর পরদিন অনুষ্ঠিত হয় আড়ং বা শোভাযাত্রা, যেখানে দেবী গৌরাঙ্গিনী মাতার প্রতিমা বের হয় বর্ণাঢ্য সাজে। এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন ব্যানার্জি পাড়ার বাসিন্দারা এবং বুড়োশিবতলার বহু পরিবার। বিশেষ করে পাড়ার মহিলারা ও তরুণীরা মিলে নিজেরাই পুজোর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। সারা বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন সকলেই শক্তি ও ভক্তির মিলনে নবদ্বীপের রাস উৎসব হয়ে ওঠে আরও ঐতিহ্যমণ্ডিত।