দুধ: মুলো খাওয়ার পর দুধ পান করলে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ মুলো শরীরকে গরম করে। এর সঙ্গে দুধ মেশালে অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। সুতরাং, এই দুটি খাবার খাওয়ার মধ্যে কয়েক ঘন্টার ব্যবধান রাখাই ভাল।
শসা: অনেকেই মুলো আর শসা একসঙ্গে খান। এভাবে খেতে যে ভাল লাগে সেই নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। শসায় অ্যাসকরবেট থাকে, যা ভিটামিন সি শোষণ করতে কাজ করে। এ কারণে শসা ও মুলা একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
advertisement
আরও পড়ুন : শহরে বাচ্চাদের চোখে ছানির সমস্যা বাড়ছে, রোগের কারণ জানিয়ে সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা
কমলালেবু: মুলোর সঙ্গে কমলালেবু খেলেও মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই দুটোর মিশ্রণ শরীরে বিষের মতো প্রভাব ফেলে। এতে পেট খারাপ তো হয়ই, অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে।
করলা: মুলো আর করলা কখনওই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। আসলে, এই দুটিতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলি নিজেদের মধ্যে কাজ করে স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে। মুলো আর করলা একসঙ্গে খেলে শ্বাসকষ্ট হয়, এমনকী এটা হার্টের জন্যও মারাত্মক।
আরও পড়ুন : ফেলে না দিয়ে গাজরের খোসা ব্যবহার করুন রান্নায়, উপকারিতা পান রাতারাতি
চা: চা আর মুলো বিপজ্জনক, কারণ এতে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটি হতে পারে। মুলো প্রাকৃতিক ভাবে শীতল। আর চা উষ্ণ প্রকৃতির। অর্থাৎ দুটি একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত। এই কারণেই চা আর মুলো একসঙ্গে খেতে বারণ করা হয়।
অত্যধিক মুলো খাওয়া উচিত নয়: মুলোর বেশ কিছু উপকারিতা আছে। কিন্তু অত্যধিক খেয়ে ফেললে স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। বার বার প্রস্রাব পেতে পারে। তাই মুলো খেলে বেশি করে জল খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কাদের মুলো খাওয়া চলবে না: মুলো রক্তের শর্করাকে কমিয়ে দেয়। তাই লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকলে মুলো খাওয়া চলবে না।
