বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর এই নদীটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সহজ পাঠ’-এর মতো লেখাতেও স্থান পেয়েছে, কবিগুরু এই নদীকে ‘প্রতিবেশিনী’ বলে উল্লেখ করেছেন। মূলত বর্ষাকালে এই নদী উত্তাল হয়ে উঠলেও, বছরের অন্য সময়ে এটি একটি শান্ত ও সুন্দর রূপ ধারণ করে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বিকেল নামলেই ছুটে আসেন এই কোপাই নদীর ধারে নদীর স্নিগ্ধ আবহাওয়া অনুভব করতে।
advertisement
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা ‘বোঝা’ বাবা-মায়েদের আবারও নতুন করে বাড়ছে কদর! ঠেলায় পড়ে খোঁজ নিচ্ছেন সন্তানরা
মূলত বোলপুর শান্তিনিকেতনের এই কোপাই নদী, যা শাল নদী নামেও পরিচিত অনেকের কাছে, এটি বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন, বোলপুর এবং কঙ্কালিতলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। আপনি যদি বোলপুর স্টেশন আসেন তাহলে স্টেশন থেকে অটো বা টোটো ভাড়া করে খুব সহজেই এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে কবি ঠাকুরের ‘সহজ পাঠে’ উল্লেখ করা এই কোপাই নদীর ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। মূলত কোপাইয়ের উৎস ঝাড়খণ্ডের খাজুড়িতে। সেখান থেকে দুবরাজপুর, খয়রাশোল, ইলামবাজার, লাভপুর এলাকা দিয়ে বয়ে চলেছে। উৎস থেকে প্রবাহিত হওয়ার পরেই নদীর পরিচিতি ‘শাল’ নামে। বোলপুরের বিনুরিয়া গ্রামের কাছে নদীর নাম বদলে হয়েছে কোপাই। একটা সময়ে নদী তীরবর্তী মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল এই নদীর। ২০১৭ সালে কোপাইয়ের উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন নদী-গবেষক তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি তখনই জানিয়েছিলেন, বেআইনি ভাবে বালি তোলার ফলে কোপাইয়ের বিপদ বাড়ছে।






