আরও পড়ুন- কোভিডের অনেক পরেও শ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা? একমাত্র প্রাণায়াম করলেই মিলবে সুফল!
খিঁচুনি বা মৃগীর একাধিক কারণ রয়েছে। বাবা, মা বা দু’জনেরই দিক থেকেই উত্তরাধিকারসূত্রে মৃগী রোগ হতে পারে, বেশি জ্বর, মাথায় আঘাত, মস্তিষ্কের গঠনগত পরিবর্তন বা নির্দিষ্ট অবস্থার কারণে মস্তিষ্কে পরিবর্তন এর কারণ হতে পারে। খিঁচুনি শক্তিশালী হলে এটি পেশীতে অনিয়ন্ত্রিত মোচড়ের কারণ হতে পারে যা কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হতে পারে। খিঁচুনি (epilepsy seizures) যার হয়েছে তার এই বিষয়টির কোনও স্মৃতিও মনে থাকবে না।
advertisement
আরও পড়ুন- যক্ষ্মা প্রাণঘাতী, তবে এই তিনটি যোগাসনে মারণরোগকে ঠেকাতে পারেন সহজেই!
মৃগীরোগকে বাড়াতে পারে কয়েকটি বিষয়, যেমন:
জ্বর
অপর্যাপ্ত ঘুম
মানসিক চাপ
অ্যালকোহল, ক্যাফিন
অপর্যাপ্ত পুষ্টি
মৃগীরোগ সৃষ্টির একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি হল:
স্ট্রোক
ভাস্কুলার রোগ
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব
খুব বেশি জ্বর
গুরুতর অসুস্থতা
ব্রেন টিউমার
ডিমেনশিয়া
এইডসের মতো সংক্রামক রোগ
জেনেটিক ব্যাধি
স্নায়বিক রোগ
যদিও এই রোগের কোনো নিরাময় নেই, তবুও কিছু ওষুধ, সার্জারি, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনলে রোগী উপকার পেতে পারেন।
সুস্থ থাকতে এই কয়েকটি বিষয়ের (Purple Day 2022) উপর নজর দেওয়া দরকার:
মৃগীরোগ-বিরোধী ওষুধ: এগুলি খিঁচুনির সংখ্যা কমাতে পারে
ভ্যাগাস নার্ভ স্টিমুলেটর: এটি একটি যন্ত্র যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বুকের ত্বকের নিচে রাখা হয়। এই ডিভাইসের সাহায্যে ঘাড়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত স্নায়ুটি বৈদ্যুতিকভাবে উদ্দীপিত হয়, যা খিঁচুনি প্রতিরোধ করে
কেটোজেনিক ডায়েট: এই চর্বি বেশি, কম কার্বোহাইড্রেট ডায়েট মানুষের জন্য দুর্দান্ত কাজ করছে
মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার: এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ যা খিঁচুনি সৃষ্টি করে, সেটি অপসারণ করা হয়।